যে প্রেমে রক্ত ঝরেছে, বদলে দিয়েছে ইতিহাস
বিনোদন ডেস্ক : যে প্রেমে রক্ত ঝরেছে। শরীরে, মনে। এই ছবির ক্যানভাস বিশাল। কিন্তু সেই বিশাল ক্যানভাসের মধ্যেই ইতিউতি ভেসে বেড়ায় ভালবাসার কোলাজ। যুদ্ধের শঙ্খনাদের আড়ালে যন্ত্রণার করুণ সুর শোনা যায় বহু দূর থেকে।
যত দূর শোনা যায়, বাজিরাও-কাশীবাঈ-মাস্তানিকে নিয়ে ছবি করার পরিকল্পনা সঞ্জয় লীলা বনশালীর আজকের নয়। দীর্ঘ দিন ধরে মনের ভল্টে ইচ্ছের ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে ঘুরেছেন। এহেন কল্পনায় যখন বনশালীর মাটি আর রং পড়ে, তখন দর্শকদের স্রেফ একটি কাজই বাকি থাকে। নিশ্চুপে তাকিয়ে থাকা সেই বিশাল ক্যানভাসের দিকে।
একদিকে ইতিহাস। সেই ইতিহাস, যার লিখিত দলিল-দস্তাবেজ রয়েছে বিস্তর। সেই ইতিহাস, যার উপরে গবেষণা চলেছে দিনের পর দিন। অন্য দিকে, সিনেম্যাটিক দাবি। ইতিহাসকে দর্শকদের সামনে সিনেমার মোড়কে পেশ করার প্রয়োজনীয়তা। টানাপো়ড়েনের নিট ফল? স্ক্রিন জুড়ে দাপিয়ে বেড়াল ইতিহাস। আর বিস্ময়ে দর্শকরা চেয়ে রইলেন এক মহাকাব্যের দিকে।
সঞ্জয় লীলা বনশালী ইজ ব্যাক। পিরিয়ড ফিল্মের ধারায় নয়া অধ্যায়ের সূত্রপাত। অনায়াসেই আধুনিক গল্প বেছে নিতে পারতেন বনশালী। এই ধরনের ছবি করার ক্ষেত্রে আরও একটা ঝুঁকি ছিল। দিন কয়েক আগেই এই ধরনের আরও একটি বিগ-ক্যানভাস ছবি ভারত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এস এস রাজামৌলির ‘‘বাহুবলী’’-তে মুগ্ধ হয়েছিলেন তামাম ভারতের সিনেমাপ্রেমীরা। বনশালী কিন্তু এই চ্যালেঞ্জটাও নিয়েছেন।
বাজিরাও (রণবীর সিংহ) পেশওয়া পদে আসীন হওয়ার সময় থেকে গল্পের শুরু। নিজের রাজ্য বাঁচাতে মাস্তানি (দীপিকা পাডুকোন) বাজিরাওয়ের সাহায্য চান। কাশীবাই-এর (প্রিয়ঙ্কা চোপড়া) সঙ্গে বাজিরাওয়ের আগেই বিয়ে হয়ে গেলেও, মাস্তানির প্রেমে পড়েন পেশওয়া।
এর পরে দুর্দান্ত চরিত্রায়ণ, অসাধারণ সাব প্লট-এর মধ্য দিয়ে ছবি এগোতে থাকে এক অনবদ্য ক্লাইম্যাক্সের দিকে। দু’ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটের ছবিতে একবারের জন্যও রাশ ঢিলে করেননি বনশালী। রণ-রক্ত-সফলতা-যন্ত্রণা এগিয়েছে হাতে হাত ধরে। একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে। বড় ক্যানভাসে পিরিয়ড ছবি করার এই প্রাথমিক এবং সবথেকে বড় শর্তটি ষোলো আনা পূরণ করেছেন বনশালী।
১৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস