রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৩১:১১

যেসব সিনেমা মুক্তিতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে

যেসব সিনেমা মুক্তিতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে

বিনোদন ডেস্ক : দিলওয়ালে ও বাজিরাও মাস্তানির মুক্তিতে সারা ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সিনেমা হলের সামনের গোলমালের খবর শোনা গেছে এমন বিভিন্ন জায়গায় সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দিলওয়ালে, বাজিরাওই প্রথম নয়, ছবি মুক্তির সময় গোলমালের ইতিহাসটা অনেক দিনের। ভারতে একাধিক ছবি মুক্তির সময় বিক্ষোভের মুখে পড়েছে। ১। পিকে(২০১৩): শুরুটা নিরাপদে করলেও কয়েকদিন যেতেই বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজ কুমার হিরানি পরিচালিত, আমির খানের পিকে। অভিযোগ ওঠে, হিন্দু মন্দির ও ধর্মকে অসম্মান করা হয়েছে ছবিটিতে। কারণ ছিল একটাই, হিন্দু ধর্মের বেশ কিছু ধ্যান ধারণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ছবিটি। ২। রামলীলা(২০১৪): বিতর্ক কোনওদিনই পিছু ছাড়েনি সঞ্জয় লীলা বলশালির। রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত রামলীলা নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন অভিযোগ তোলে ক্ষত্রিয়দের অপমান করা হয়েছে ছবিতে। দাবি ওঠে ছবি নিষিদ্ধ করারও। ৩। হায়দার(২০১৪): আজাদ কাশ্মীর, আফস্পা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ও শাহিদ কাপুর অভিনীত হায়দারকে দেশদ্রোহী ছবি বলেছিল কেউ কেউ। দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করা, হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করার পাশাপাশি একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছিল হায়দারের বিরুদ্ধে। ৪। যোধা আকবর(২০০৮): আশুতোষ গোয়াড়েকরের ছবিটিতে ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল শুরু থেকেই। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা সহ বেশ কিছু রাজ্যেয় প্রাথমিক ভাবে ছবিটির মুক্তিও আটকেও দেওয়া হয়েছিল। ৫। ব্ল্যাক ফ্রাইডে(২০০৮): ১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলা নিয়ে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ তৈরি করেছিলেন ব্ল‍্যাক ফ্রাইডে। যেহেতু ১৯৯৩ সালের মামলাটি এখনও বিচারাধীন, তাই বলা হয় ছবি মুক্তি পেলে বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে। সেই কারণেই প্রায় ২ বছর মুক্তি পেতে দেরি হয় ছবিটির। ৬। ফানাহ (২০০৬): দিলওয়ালে মুক্তির কয়েকদিন আগে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খুলে যেমন বিতর্কের মুখে পড়েছেন শাহরুখ। তেমনই ২০০৬ সালে ফানাহ ছবির মুক্তির আগে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনকে সমর্থন করে ফেঁসেছিলেন আমির খান। বি জে পি শাসিত গুজরাটে শুধু আমিরের ছবি নয়, আমির খানের নাম বন্ধ মুছে দিতে প্রস্তুতি নিয়েছিল তৎকালীন গুজরাট সরকার। ৭। নিঃশব্দ(২০০৭): অমিতাভ বচ্চন ও জিয়া খান অভিনীত এই ছবিটি নিয়েও বিতর্কের শেষ ছিল না। তবে এবার উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সাংসদ অভিযোগ তুলেছিলেন, ছবিটি নাকি ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী। ছবি মুক্তির পরে এলাহাবাদে বেশ কিছু দিন বিক্ষোভও চলেছিল। ৮। মাই নেম ইজ খান (২০১০): এবারেও বিতর্কে ছিলেন শাহরুখ খান। বলেছিলেন, পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের আইপিএ‍ল–এ খেলতে দেওয়া উচিত। তাতেই জাতীয়তাবাদী সংগঠনরা রে রে করে উঠেছিল। পোড়ান হয়েছিল পোস্টার, বন্ধ হযেছিল একাধিক শো। সেবারেও ছবির জুটি ছিল শাহরুখ খান আর কাজল। ২০ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে