বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৯:২৩:২১

নোবেলের যে কথায় তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন মোনালি ঠাকুর

নোবেলের যে কথায় তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন মোনালি ঠাকুর

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি শেষ হয়েছে জি বাংলার সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’। এ অয়োজনে ভারতের একজনের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের মাঈনুল আহসান নোবেল। এখানেই শেষ হয়েছে নোবেলের ‘সা রে গা মা পা’র সফর।

এ নিয়ে কলকাতা ও বাংলাদেশের নোবেল ভক্তদের যখন দুঃখের শেষ নেই, তখনই নতুন এক বিতর্কে জড়ালেন এ শিল্পী। একটি লাইভ সাক্ষাৎকারে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন নোবেল। যে কারণে চতুর্দিক থেকে আসছে নিন্দা।

এর মধ্যে আরও একটি তথ্য জানাল কলকাতার একটি সংবাদ মাধ্যম। জানা গেছে ‘সারেগামাপা’ প্রতিযোগিতা চলার সময় অন্য প্রতিযোগীদের নাকি পাত্তা দিতেন না নোবেল। এমনকি এক বিচারককে নাকি অপমান করেছিলেন তিনি। 

বাংলাদেশি শিল্পীকে সমালোচনা করে নানা কথাই ভারতের গণমাধ্যমগুলো লিখছে, ব্যবহার করছে ‘অভব্যতা’র মতো শব্দ। সেখানকার কোনও (নোবেল) শিল্পীকেই নাকি তার যোগ্য মনে হতো না।

এমনকি এক বিচারককে নোবেল নাকি বলেছিলেন, তার গান বিচার করার ক্ষমতা সেই বিচারকের নেই। এমন ব্যবহারের কারণেই নাকি মঞ্চে বেশ কিছুদিন দেখা যায়নি নোবেলকে, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। আদতে এখবর কতটুকু সত্য? বিষয়টি তলিয়ে দেখতে গিয়ে পাওয়া গেল আরো তথ্য!

সোশ্যাল নেটওয়ার্কসহ কয়েকটি সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, মোনালি ঠাকুরের সঙ্গে নোবেলের ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে একটি গানের নম্বর দেয়া নিয়ে। তবে নোবেল তাকে অপমান করেননি। জানা যায়, অন্য দুইজন বিচারক নোবেলকে ৯ করে নম্বর দিলেও মোনালি নম্বর দিয়ে দেন ১০ এর মধ্যে মাত্র ৪।

এতে নোবেল অবাক হন। মোনালি কারণ হিসেবে জানান, ‘এই গানের কথাই বোঝা যায়নি।’ সে পর্বের নোবেলের গাওয়া গানটি ছিল তাহসানের ‘বিন্দু আমি।’ নোবেল মোনালিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গানটি আসলে এমনই- আপনি শুনে দেখুন’- আর এতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন মোনালি। 

এমনকি তিনি বিচারকের আসন ছেড়ে উঠে চলে যান। নোবেলের গাওয়া গানের কথাগুলো ছিল এমন- এ যেন সহজ স্বীকারোক্তি আমি যুগান্তরী নই/এ যেন ভীষণ আক্ষেপ আমার আমি দিগ্বিজয়ী নই/শুধু একটাই আশা আমি বুকে জড়িয়ে রব সারাটি জীবন তোমায় নিয়ে/ কিছু অর্থহীন শব্দ গুনে ডেকেছি তোমায়/ প্রেম তুমি কোথায়/বিন্দু আমি তুমি আমায় ঘিরে/বৃত্তের ভেতর শুধু তুমি আছো/মাতাল আমি তোমার প্রেমে/ তাই অর্থহীন সবই যে প্রেম লাগে…

বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় ছিল এই গান। শোনা যায়, নোবেলকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল মোনালি ঠাকুরের নিকট। কিন্তু নোবেল বুঝে উঠতে পারছিলেন না ঠিক কী কারণে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

শোনা যায়, প্রতিযোগিতার অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে নাকি ভাল ব্যবহার করতেন না নোবেল। বরং তার মধ্যে সবসময়ই একটা নাক উঁচু ভাব কাজ করত। তার ওপর আবার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তার ‘ভিঞ্চিদা’ ছবিতে গান গাওয়ান নোবলকে দিয়ে।

ওপারের মিডিয়ার আরো অভিযোগ, ভারতের এমন এক প্রথম সারির পরিচালক প্রতিযোগিতার অন্য প্রতিযোগীদের না বেছে তাকে বেছে নেওয়ায় নোবেল যেন আরও অহংকারী হয়ে ওঠেন। কলকাতার একটি গণমাধ্যম বলছে, বাস্তবে এর কতটা সত্য আর কতটা মিথ্যা তা সময় বলে দেবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে