রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:৫৫:২৮

শুটিং স্পটে চুরির শিকার তানজিন তিশা!

শুটিং স্পটে চুরির শিকার তানজিন তিশা!

বিনোদন ডেস্ক : তানজিন তিশাএক ঘণ্টার একটি নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে শনিবার মস্ত এক চুরির শিকার হয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ‘অবশেষে’ নাটকের শুটিংয়ে উত্তরার একটি শুটিংবাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। তিশা জানিয়েছেন, চুরি হয়ে যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে তাঁর ব্যাগে থাকা নগদ সাত হাজার টাকা ও কানের সোনার দুলও রয়েছে। তিনি জানান, গতকাল ছিল নাটকটিতে তাঁর অংশের শুটিংয়ের শেষ দিন। শুটিং শেষে রাত সাড়ে নয়টার দিকে মেকআপ রুমে গিয়ে তাঁর ব্যাগটি আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে ব্যাগটি পাশের ওয়াশ রুমে পাওয়া গেলেও ব্যাগের মধ্যে থাকা ওই সব জিনিস খোয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘আমার সহশিল্পী ছিলেন নিরব ও অর্শ্বা। ব্যাগটি যখন পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশেই ওয়াশরুমে নিরব খালি ব্যাগটি আবিষ্কার করেন।’ এদিকে, তিশা তাঁর জিনিসগুলো চুরি যাওয়ার জন্য দায়ী করেছেন নাটকটির পরিচালক ও প্রযোজককে। তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ের প্রথম দিন থেকেই পরিচালক ও প্রযোজকের একাধিক ‘বন্ধুবান্ধব’ এসে হাজির হতো। শেষদিনও তাঁদের দেখা গেছে। যেদিন আমার জিনিসগুলো চুরি হয়, সেদিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রযোজকের একাধিক ‘বন্ধুবান্ধব’ এসে আড্ডা দিয়েছেন।’ তিশা বলেন, ‘এ সব লোকজন চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।’ এদিকে, পরিচালক জিকু চৌধুরী উল্টো তিশার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাগটি মেকআপম্যান কিংবা ইউনিটের কারও কাছে দেখে রাখার দায়িত্ব দিলে এমন ঘটনা ঘটতো না। তিশা এ কাজটি করেননি। তবে চুরি হয়ে যাওয়া সাত হাজার টাকা তিশাকে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘সাত হাজার টাকা আমার পক্ষে ফেরত দেওয়া সম্ভব। বাকিটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ তবে তিশা তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের প্রতিবাদ করে বলেছেন, ‘শিল্পীরা শুটিংয়ে মেকআপ রুমেই ব্যাগ রাখেন। কাউকে দায়িত্ব দিতে হয় না। এত এত নাটকের শুটিং করি, কখনো তো কাউকে ব্যাগ দেখার দায়িত্ব দিয়ে শুটিং করিনি। চুরির ঘটনাও তো ঘটেনি। পরিচালকের এটি দায় এড়িয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা।’ অন্যদিকে, পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে তিশার অভিযোগের ব্যাপারে জিকু চৌধুরী বলেছেন, ‘তিশা যে অভিযোগ করেছেন তা, ঠিক না। আমি এবং প্রযোজক দুজনই নাটকে নতুন। আমাদের হয়তো আরও জানা বা শেখার আছে। তবে শুটিং লোকেশনে ‘বন্ধুবান্ধব’ এসেছিল। কিন্তু আড্ডা হয়নি। তাঁরা শুটিং দেখতে এসেছিল, এতটুকুই।’ সূত্র : প্রথম আলো। ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে