শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০১:২৪:৪৯

ট্রানজিটের নাম করে মুম্বাইতে শিমলার কাছে ছিলেন পলাশ

ট্রানজিটের নাম করে মুম্বাইতে শিমলার কাছে ছিলেন পলাশ

বিনোদন ডেস্ক : চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমান ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাই চেষ্টা মামলাটির আসামি পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদি ওরফে মাহিবি জাহানেই ঘুরপাক খাচ্ছে। 

গতকাল নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের জিজ্ঞাসাবাদে পলাশের সাবেক স্ত্রী এবং এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা চিত্রনায়িকা শিমলাও জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় অভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। 

তবে একটি সূত্র জানায়, ট্রানজিটের নাম করে ভারতের মুম্বাইতে সিমলার কাছে গিয়েছিলেন পলাশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে চিত্রনায়িকা শিমলা দাবি করেন, প্রতারণার আশ্রয় নিয়েই পলাশ তাকে বিয়ে করেছেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া বলেন, ‘শিমলার কাছ থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পূর্বে তদন্তে যে তথ্য পাওয়া গেছে, শিমলার কাছ থেকেও প্রায় অভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।’ 

এক প্রশ্নে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘পলাশের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে ডিভোর্স পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন শিমলা। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন, প্রতারণার আশ্রয় নিয়েই পলাশ তাকে বিয়ে করেছেন। যখন প্রতারণার বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে, তখন দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়।’ 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হওয়ার পর শিমলা বলেন, ‘তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ আমাকে ডেকেছে। তারা আমার কাছে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে। বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার যে বক্তব্য আমি মিডিয়ায় দিয়েছি, একই বক্তব্য আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছেও দিয়েছি।’ 

মামলার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার শিমলা মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কার্যালয়ে আসেন। এরপর প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে কর্মকর্তারা শিমলা-পলাশ দুজনের পরিচয়, প্রেম, বিবাহ, বিচ্ছেদসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান। 

এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় শিমলা তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান, বিয়ের আগে পলাশ নিজেকে লন্ডন প্রবাসী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি লন্ডন, গুলশান, নারায়ণগঞ্জে তার নিজস্ব বাড়ি থাকার কথা জানান। কিন্তু বিয়ের পর পলাশের প্রতারণা ধরা পড়ে শিমলার চোখে। এরপর থেকে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। 

২০১৮ সালের নভেম্বরে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এরপর পলাশের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না চিত্রনায়িকা শিমলার। দীর্ঘ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা না করার বিষয়ে ভারতে শুটিংয়ের কারণে ব্যস্ত থাকার কথা জানান শিমলা। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খী ছিন'তাইচেষ্টার মামলা হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জনের জবানবন্দি সংগ্রহ করেছে তদন্ত দল। 

এদের মধ্যে রয়েছেন মামলার বাদী, বিমানের ক্রু, বিমানবন্দরের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং পলাশের ঘনিষ্ঠ লোকজন। বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদকালে তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পারেন, পলাশ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা শিমলার কাছে রয়েছে বলে ধারণা করেন তারা।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে শিমলা জানান, পলাশ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করেন। বেকার থাকার কারণে আয়ের কোনো উৎস ছিল না তার। সংগ্রহ করা টাকাগুলো বাড়ি ভাড়া ও আমোদ-ফুর্তিতে খরচ করেন পলাশ। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে