পুরোপুরি উধাও নোলক বাবু
বিনোদন ডেস্ক : ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে একাধিক অ্যালবামের মাধ্যমে বেশ ভালো একটি শুরু করেছিলেন নোলক বাবু। অ্যালবামের পাশাপাশি প্লেব্যাকেও নিয়মিত হতে থাকেন তিনি।
কিন্তু নোলক অডিও ও চলচ্চিত্রাঙ্গনের একজন নির্ভরশীল শিল্পী হিসেবে যখন সম্ভাবনার জানান দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই শুরু হয় তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা ও বিতর্ক। বিশেষ করে মাদকাসক্ত ও খারাপ আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে থাকেন তিনি। তাছাড়া শিডিউল অনুযায়ীও রেকর্ডিং ও স্টেজে পাওয়া যায়নি তাকে।
এত অভিযোগের ফলে অনেক সংগীত পরিচালকই নোলকের সঙ্গে কাজ করতে অসম্মতি জানান। এদিকে বছর কয়েক আগে প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন নোলক। এ নিয়েও আলোচনা কম হয়নি। এর বাইরে আমেরিকায় বেশ কয়েকবার শো করতে গিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সেখানে তার বিরুদ্ধে মাতাল হয়ে মাতলামি করার অভিযোগ আনেন অনেক প্রবাসী। সর্বশেষ বিমানযোগে বাংলাদেশে আসার পথে মদপান করে এয়ারহোস্টেজের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন নোলক।
সব মিলিয়ে অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশীয় অনেক আয়োজকও নোলককে নিয়ে শো করার পরিকল্পনা বাদ দেন। নতুন খবর হলো এখন পুরোপুরি উধাও রয়েছেন নোলক। কোন দিকেই হদিস মিলছে না তার। তার মোবাইল নম্বরটিও সব সময় বন্ধ থাকছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার একাউন্ট থাকলেও সেখানেও অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি।
তার সতীর্থর ক্লোজআপ ওয়ান প্রথম আসরের অনেক প্রতিযোগীর কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তারাও অবগত নন নোলক সম্পর্কে। কারণ অনেক আগে থেকেই সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন এ শিল্পী। এদিকে বড় আয়োজনের কোন কনসার্টেও গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এ তারকাকে।
এ ছাড়া অ্যালবাম কিংবা প্লেব্যাক কোথাও নেই তার উপস্থিতি। সব মিলিয়ে এ পর্যায়ে এসে নোলক সংগীত জগৎ থেকে অনেকটাই হারিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন বিচারক দুঃখ করে বলেন, নোলক আমার দৃষ্টিতে দেশে যত প্রতিযোগিতা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্পী ছিলেন। ছিলেন এজন্য বলছি যে অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তিনি এখন নেই। তার থেকে পিছিয়ে থাকা অনেকেই এখনও নিয়মিত গান করছেন, ভালো করছেন। কিন্তু নোলক নেই। আসলে তারকাখ্যাতিটা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। আমার মনে হয় সংগীত কিংবা যে কোন প্রতিযোগিতা হলে অবশ্যই আচার-আচরণ, ব্যবহার, কথাবার্তা, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে গ্রুমিং করানো উচিত। না হলে নোলকের মতো এ রকম করে হারিয়ে যাওয়ার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। -মানবজমিন
২৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস