বিনোদন ডেস্ক : কোনও রকম ঝুঁ'কি নিতে চাইছে না কর্পোরেট জগত্ বরং 'সেফ গেম' খেলতে চাইছে। তাই দেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর মুখঢাকাদের হা'মলার প্রতি'বাদে মোদি বিরো'ধী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোয় তার বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে প্রভা'ব পড়ছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন সেই বার্তাই দিতে দেখা গেল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনও কোনও ব্যান্ড আপাতত স্বল্প মেয়াদে ওই অভিনেত্রীর করা বিজ্ঞাপনের প্রদর্শন বন্ধ করে দিচ্ছে। সেলিব্রিটি ম্যানেজারদের বক্তব্য, ভবিষ্যতের চুক্তি অনুমোদন অনেকটাই নির্ভর করছে এই অভিনেত্রীর রাজনৈতিক অবস্থানের জেরে প্রশাসনের ক্ষো'ভ কতটা প্র'তিহিং'সাপ'রায়ণ হয়ে পড়ে তার উপর।
বড় বড় ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করা এক কর্তার বক্তব্য, সব সময়ই তাদের মাথায় রাখতে হয় যাতে ব্রান্ড নিরা'পদে থাকে এবং কোনও রকম বি'তর্কে না জড়ায়।
বর্তমানে দীপিকা পাড়ুকোনের নেট সম্পদ ১০৩ কোটি টাকা। অ্যাক্সিস ব্যাংক, ভিসতারা এয়ালাইন্স, তানিশক, ব্রিটানিয়া সব ২৩ ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। টুইটারে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ২৬.৮ মিলিয়ন। জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটিতে মোদি সরকারের বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হা'ম'লার পর থেকেই জায়গায় জায়গায় চলছে প্রতিবাদ। সেই সময় আবার 'ছপক' ছবির প্রোমোশনের ব্যস্ততা কাটিয়েই দীপিকা গাড়ি নিয়ে সোজা জেএনইউ-তে চলে যান।
তখন সেখানে ছিলেন কানহাইয়া কুমার, জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কথা শোনেন তিনি। জেএন ইউ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতি দেখান। যদিও দীপিকার অমন আচরণের জন্য দেশজুড়ে বি'ত'র্ক দানা বাধে। বিজেপি সমর্থকেরা তার ছবি ব'য়ক'টের ডাক দেয়। এবার কর্পোরেট জগতও দীপিকার ব্যাপারে 'সেফ গেম' খেলতে চাইছে বলে বার্তা দিল।
তবে বিজেপি বয়কটের ডাক দেওয়ার পর থেকে দীপিকার ছপক ছবিটি বক্স অফিসের ভালো খবর দিতে পারেনি। মুক্তির পর প্রথম দুদিনে ১১ কোটি টাকা তুলেছে, সেখানে অজয় দেবগণের 'তানিজি' ছবি ৪০ কোটির কাছাকাছি। তার বিজ্ঞাপনের পণ্যগুলোও বাজারে কম ব্রিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থার দীপিকার পাশ থেকে সরে যাচ্ছে কর্পোরেট জগতও। অনেকের ধারণা, জেএনইউতে গিয়ে মোদি বিরো'ধীদের পাশে দাঁড়িয়ে সবকিছু হারাতে বসেছেন দীপিকা।