বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১২:২৯:২৭

সালমান শাহ'র বাসায় সারারাত ছিলেন শাবনূর

সালমান শাহ'র বাসায় সারারাত ছিলেন শাবনূর

বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।

এ বিষয়ে আদালত পুলিশের নন-জিআর শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল (বুধবার) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহর আদালতে ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে নির্ধারিত তারিখ ৩০ মার্চ শুনানি হবে।

আদালতে পাঠানো ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ ও শাবনূরের মধ্যে অতিরিক্ত অ'ন্তর'ঙ্গতা তৈরি হয়। সালামানের স্ত্রী সামিরা চট্রগ্রামে গেলে নায়িকা শাবনূর দুইদিন সালমান শাহের বাসায় আসে। একদিন সারারাত ছিল, অন্যদিন রাত ১২টার দিকে চলে যায়। সামিরা চট্রগ্রাম হতে এসে জানতে পারে যে, নায়িকা শাবনূর বাসায় এসেছিল। সালমানের সঙ্গে শাবনূরের এই অ'ন্তর'ঙ্গতা নিয়ে স্ত্রী সামিরার সাহিত ব্যা'পক দাম্পত্য ক'লহের সৃষ্টি হয়। সালমান স্ত্রী সামিরাকে খুব ভালোবাসতো। পাশাপাশি শাবনূরের সঙ্গে ঘনি'ষ্ট সম্পর্ক বজায় রাখতো। 

এ কারণে দাম্পত্য ক'লহের এক পর্যায়ে সালমান শাহ জটিল সম্পর্কের বেড়া'জালে পড়ে যায়। এছাড়া, ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফোন করা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝ'গড়ার জেরে নিজ বাসায় সে ইনো'ক্টিন ট্যাবলেট খেয়ে আ'ত্মহ'ত্যার চেষ্টা করে। এছাড়া ১৯৯২ সালে নভেম্বর মাসে কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির শুটিংয়ের সময় সামিরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে ঝ'গড়া করে সালমান শাহ স্যাভলন খেয়ে আ'ত্মহ'ত্যার চেষ্টা করে।

সালমান শাহের সঙ্গে তার মা নীলা চৌধুরীর সম্পর্ক ভলো ছিলো না। কারণ সালমান শাহের স্ত্রী সামিরার সঙ্গে নীলা চৌধুরীর ঝ'গড়া বি'বাদ লেগে থাকতো। এক পর্যায়ে সালমান শাহ অতি'ষ্ট হয়ে সামিরাকে নিয়ে আলাদা বাসা নিতে বাধ্য হয়। পরে সালমান তার মা নীলা চৌধুরীকে প্রতি মাসে হাত খরচ বাবদ এক লাখ টাকা দিত। সংসার জীবনে সালমান শাহের জীবনে কোন সন্তান হয়নি। তাই সাক্ষী ডলির ছেলে ওমরকে সালমান শাহ সন্তানের মতো ভালোবাসতো। ওমর সালমান শাহকে বাবা বলে ডাকতো। 

পরবর্তীতে ডলির ছেলে ওমরকে দত্তক নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ডলির জো'র আ'প'ত্তির কারণে দত্তক নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সালমান শাহের সংসার জীবনে সন্তান না হওয়ার অপূর্ণতা থেকে যায়। এ কারণে হতা'শা ছিল। তাই চিত্রনায়ক সালমান শাহ আ'ত্মহ'ত্যা করেছে, তার মৃত্যু প'রিক'ল্পিত কোন হ'ত্যাকা'ণ্ড ছিল না মর্মে তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। 
 
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে মা'রা যান। তখন একটি অ'পমৃ'ত্যুর মামলা করেছিলেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ছেলেকে হ'ত্যা করা হয়েছে- এমন অ'ভিযো'গে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অ'ভিযো'গটিকে হ'ত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন করা হয়। তখন অ'পমৃ'ত্যু মামলার সঙ্গে হ'ত্যাকা'ণ্ডের অ'ভিযো'গের বিষয়টি ত'দ'ন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত। 

১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূ'ড়া'ন্ত প্রতিবেদন দিয়ে সিআইডি জানায়, সালমান শাহ আ'ত্মহ'ত্যা করেন। সিআইডির প্রতিবেদন প্র'ত্যা'খ্যা'ন করে কমরউদ্দিন চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় ত'দ'ন্তে পাঠায় আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সেই প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। তাতেও হ'ত্যার অ'ভিযো'গ পাওয়া যায়নি। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় ত'দ'ন্ত প্রতিবেদনে 'নারাজি' দেন। 

তিনি ১১ জনের নাম উল্লেখ করে দাবি করেন, এরা তার ছেলেকে হ'ত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। মামলাটি এরপর ত'দ'ন্ত করে র‌্যাব। তখন রাষ্ট্রপক্ষ আপ'ত্তি তুললে ২০১৬ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস র‌্যাবকে মামলাটি আর তদ'ন্ত না করার আদেশ দেন। তখন তদন্তের দায়িত্বে আসে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সূত্র : বিডি প্রতিদিন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে