সোমবার, ০২ মার্চ, ২০২০, ০১:৪৯:২৩

নারী ও মা'দকের নেশায় অকালেই ধ্বং'স হলো নায়কের ক্যারিয়ার

নারী ও মা'দকের নেশায় অকালেই ধ্বং'স হলো নায়কের ক্যারিয়ার

বিনোদন ডেস্ক: বাবা ছিলেন বলিউডের শ'ক্তিমান অভিনেতা। ১৯৫৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ফিল্মি ক্যারিয়ার তার। তিনি অভিনেতা ফিরোজ খান। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকেও তিনি এনেছিলেন বলিউডে। অনেক চে'ষ্টাও করেছেন। কিন্তু হ'তাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেননি পুত্র ফারদিন খান।

বাবার বিপরীতে তার ক্যারিয়ার মাত্র ১৯৯৮-২০১০ সাল! সেটাও বিরতি দিয়ে। বাবার নাম যেখানে আজও সবার মুখে শোনা যায় সেখানে স্মৃ'তি থেকে প্রায় হা'রিয়ে গেছেন ছেলে। কেন এমন হলো? সেই জবাব খুঁ'জতে গিয়ে অনেক কথাই উঠে আসে।

স্টারডমের বো'ঝা জন্মের পর থেকেই ফারদিন খানের উপরে চে'পে বসেছিল। জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খানের ছেলে হওয়ায় তাকে ঘি'রে আ'গ্রহ থাকতো সবার। সেই আ'গ্রহ নিয়েই সিনেমায় এলেন। তবে নিজের বাবা ও পরিবারের প্রতি নামের সঠিক ব্যবহার তিনি করতে পারলেন না।

ফারদিন খানের বেড়ে ওঠা মুম্বাইয়ে। স্টার কি'ড হওয়ায় বলি-মহলে ফারদিনের প্রচুর বন্ধু-বান্ধব ছিল। কারণ অন্যান্য স্টার কিডের সঙ্গেই তার বে'ড়ে ওঠা। বিভিন্ন সময় একাধিক নারীস'ঙ্গ উপভো'গ করেছেন উ'চ্ছৃ'ঙ্খল জীবনে। নায়িকা ও শোবিজের বাইরের বহু সুন্দরীর প্রেমে পড়েছেন তিনি। সেইসব তাকে হ'তা'শ করেছে, ক্লা'ন্ত করেছে। বন্ধুদের সঙ্গ দো'ষে এরপর তিনি মা'দকেও আ'স'ক্ত হয়ে পড়েন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ছি'টকে যান সুস্থ-সুন্দর জীবন থেকে।

জানা গেছে, মুম্বাইয়ের স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা পাড়ি দেন ফারদিন। সেখানে আমিশা পাটেলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমিশাও সে সময় আমেরিকাতেই পড়ছিলেন।পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসেন ফারদিন। বাবার দেখানো রাস্তাতেই ক্যারিয়ার গড়ে তু'লবেন ঠিক করেন তিনি। মাথার উপরে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক বাবা এবং ফারদিন খানের নিজের লু'ক, সব মিলিয়ে বলিউডে সাফল্য ছোঁ'য়া তাঁর কাছে অনেকটাই সহজ ছিল।

১৯৯৮ সালে ফিরোজ খানের প্রযোজনায় ‘প্রেম অঙ্গন’ ছবিতে ডেবি'উ করেন ফারদিন। যেহেতু ফিরোজ খান এই ফিল্মে তার ছেলেকে ল'ঞ্চ করতে যাচ্ছিলেন, তাই সকলের ন'জ'র ছিল এই ফিল্মের উপর। ফারদিন খান কতটা বাবার মর্যাদা রাখতে পারবেন, সেটাই চ্যা'লে'ঞ্জ ছিল তার কাছে। তবে এই ফিল্ম বক্স অফিসে খুব একটা প্র'ভা'ব ফেলতে পারেনি।

এরপর রামগোপাল ভার্মার সঙ্গে দেখা করেন ফিরোজ খান। ছেলের জন্য কিছু ভাল ফিল্মের কথাবার্তা হয় দু’জনের মধ্যে। ফারদিন খানকে ভাল স্ক্রি'প্টে অভিনয়ের সুযোগ দেওযার প্রতিশ্রু'তি দেন রামগোপাল। তিনি ফারদিনকে নিয়ে তিনটি ফিল্ম করলেন। ‘জঙ্গলি’, ‘প্যায় তুনে ক্যায়া কিয়া’ কিছুটা সাফল্য পেলেও ‘লাভ কে লিয়ে কুছ ভি করেগা’ একদমই মুখ থু'ব'ড়ে পড়ে। এখানে হ'তাশা আরও বেশি করে গ্রা'স করতে থাকে ফারদিনকে।

এরপর ২০০১ সালের ৫ মা'দ'ক ব্যবসাতে জ'ড়ি'ত স'ন্দে'হে মা'দ'কসহ ফারদিন খানকে গ্রেফ'তার করে পুলিশ। তার কাছে থেকে এক গ্রাম ও তার গাড়ি থেকে নয় গ্রাম কো'কে'ন মি'লেছিল। চারদিকে যখন স'মা'লোচ'নার বড় বড় থা'বা আ'সতে লাগলো ফারদিনের বাবা তখন পাশে দাঁড়ান। ছেলের বন্ধুদের নামে দা'য় ঠে'লে দেওয়ার চে'ষ্টা করেন তিনি।

ক্যারিয়ার প্রায় শে'ষ হতে ব'সেছিল ফারদিনের। তু'মু'ল বিত'র্ক শুরু হয় তাকে ঘি'রে। বাবার কৃ'পায় ফের আরও এক বার ক্যারিয়ার শুরু করার চে'ষ্টা করেন ফারদিন খান। ফিরোজ খানের প্রযোজনায় ‘জনাসিন’ ফিল্ম করেন। ফিল্মের নায়িকা ছিল সেলিনা জেটলি। সে সময় সেলিনার স'ঙ্গে স'ম্প'র্কেও জ'ড়িয়ে পড়েন তিনি।

এর পর ২০০৪ সালে ‘দেব’ ফিল্মে অমিতাভ বচ্চন এবং কারিনা কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেন। এই ফিল্ম সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু এর থেকে ফারদিন খানের ক্যারিয়ারে কোনো প্র'ভা'ব পড়েনি। এর পর ফারদিন খান যা যা সিনেমা করেছেন, তার বেশির ভাগই ছিল মাল্টিহিরো ফিল্ম।যেমন ‘নো এ'ন্ট্রি’, ‘হে বেবি’-র মতো ফিল্মে ভাল কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে তার শেষ ফিল্ম ছিল ‘দুলহা মিল গয়ে’।

ব্যক্তিজীবনে ২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে নতাশা মাধবনীকে বিয়ে করেন ফারদিন। শোনা যায়, ২০১০ সালের পর তিনি নিজের পরিবারকে নিয়েই নাকি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ফিল্মে তাকে সেভাবে দেখা যায় না।

২০১১ সালে ফারদিন খান ড্রা'গ মা'মলা থেকে পু'রোপু'রি রে'হা'ই পান। তিনি যে রি'হ্যা'বে গিয়ে পু'রোপু'রি সু'স্থ হয়ে উঠেছেন, কো'র্টে সেই সার্টিফিকেট পেশ করেন। তাঁর কেরিয়ার যত না দীর্ঘ ছিল, তাঁর কোর্ট কে'স তার থেকেও বেশি দীর্ঘ ছিল, এমনই গু'ঞ্জ'ন বলিউডে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে