বুধবার, ০৪ মার্চ, ২০২০, ০৯:১৯:৫২

শাবনূরের সংসার ভা'ঙ্গার আসল কারণ জানা গেল অবশেষে

শাবনূরের সংসার ভা'ঙ্গার আসল কারণ জানা গেল অবশেষে

বিনোদন ডেস্ক: ভে'ঙে গেছে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর (শারমীন নাহিদ নূপুর) এর সংসার। ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তিনি অনিক মাহমুদ হৃদয় নামের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। বনিবনা না হওয়ায় স্বামীকে নিজেই ডিভোর্স দিয়েছেন শাবনূর। তার তালাক নোটিশ তৈরি করা এডভোকেট কাওসার আহমেদ এই তথ্যই জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, স্বামী অনিক মা'দকাস'ক্ত। রাত বিরাতে মা'তাল হয়ে বাসায় ফিরেন। শাবনূরকে নানারকম নি'র্যা'তন করেন। স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বও পালন করেন না। বির'ক্ত হয়েই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন ঢালিউডের অন্যতম সফল এ নায়িকা।

কাওসার আহমেদ জানান, গেল ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন। তালাকের নোটিশ অনিকের উত্তরা ও গাজীপুরের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

সেই নোটিশে শাবনূর বি'চ্ছেদের কারণ উল্লেখ করে বলেছেন, 'আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। সে মা'দকাস'ক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে ম'দ্য'প অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নি'র্যা'তন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।

একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না, উ'ল্টো নানাভাবে আমাকে নি'র্যা'তন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নি'র্যা'তন আরো বাড়তে থাকে। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মনে হয়ে তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না।

তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে