আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ে করে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শাবনূর। কিন্তু দাম্পত্য জীবন শেষ পর্যন্ত সুখের হয়নি তার। ভেঙে গেছে বিয়ে। ডিভোর্স নোটিশে স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের বি'রু'দ্ধে গু'রুতর অনেক অ'ভিযো'গ এনেছেন অভিনেত্রী শাবনূর।
তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ জানান, শাবনূরের স্বামী অনিক মা'দকাস'ক্ত। রাত বিরাতে মা'তাল হয়ে বাসায় ফেরেন। প্র'তিবা'দ করলে শাবনূরকে নানারকম মানসিক ও শারী'রিক নি'র্যা'তন করেন। ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনিককে বিয়ে করেন শাবনূর।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠান শাবনূর। শাবনূর জানিয়েছেন, সব সময় মদ্যপ থাকার কারণে স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন না অনিক। অস্ট্রেলিয়ায় এমন একাকি জীবনে ঠিকমতো শাবনূরের যথাযথ যত্ন ও রক্ষ'ণাবে'ক্ষণ করে না। একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না বলে অ'ভিযো'গ শাবনূরের।
অনিক আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই : শাবনূর
তিনি আরও অ'ভিযো'গ এনেছেন, বিয়ের এক বছরের মাথায় একমাত্র ছেলের জন্মের পর থেকে অনিক দিন দিন আরও দূরে সরে থাকা শুরু করে। পরে তিনি জানতে পারেন অস্ট্রেলিয়ায় অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন অনিক। এরপরও সব মেনে নিয়ে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে উ'ল্টো অমা'নসিক নি'র্যাতন সইতে হয়েছে শাবনূরকে। এসব কারণে তার জীবনে অশান্তি নেমে আসে। এক সময় বি'র'ক্ত হয়েই শাবনূর স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছে'দের সিদ্ধান্ত নেন।