বিনোদন ডেস্ক : শুটিংয়ের টাকা না দিয়ে মা'রধ'র করার অভি'যোগে আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের বিরু'দ্ধে মা'মলা করেছেন জুনিয়র আর্টিস্ট নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা।বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে এ মা'মলা দায়ের করা হয়। আদালত তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদ'ন্ত করে প্র'তিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
জুনিয়র মিশার আইনজীবী মকিম মণ্ডল বলেন, হিরো আলমের বিরু'দ্ধে নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা একটি মা'মলা করেছেন। আদালত মা'মলাটি ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদ'ন্ত করে প্রতিবেদন দা'খিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা বলেন, আমি হিরো আলমের সঙ্গে ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিতে সেকেন্ড ভিলেন (দ্বিতীয় খলনায়ক) হিসেবে অভিনয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকা চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী গাজীপুরের মনপুরা শুটিং স্পটে অভিনয় করতে যাই। যেখানে কিছু দিন অভিনয় করি। এর মধ্যে ঢাকায় আসার সময় সে আমার হাতে ৫০০ টাকা ধ'রিয়ে দিয়ে বলেন, টাকা পরে দেব। আমি বাসায় এসে কিছুদিন পর তার মোবাইলে ফোন দেই। সে ফোনে আমাকে একদিন বলে কিসের টাকা পাবি তুই। তুই কোনো টাকা পাবি না।
তিনি আরও বলেন, এরপর সে আমার ফোন ধর'ত না। এরপর গাজীপুরে ছবির শুটিংস্থলে আমি যাই। টাকা চাইলে হিরো আলম আমাকে শুটিংয়ের দা দিয়ে আঘা'ত করে। কিল-ঘুষি মা'রে। আমি সেখান থেকে চলে আসি। এরপর ১৯ জুন এফডিসিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে আমি যাই। হিরো আলম আমাকে সেখানে মা'রধ'র করেন। হিরো আলমের লোকজনের ভ'য়ে আমি জীবন নিয়ে শ'ঙ্কায় আছি। তাই আমি আদালতে মা'মলাটি করি।
সম্প্রতি সুপারস্টার অনন্ত জলিলের সিনেমায় কাজ করা নিয়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন হিরো আলম। অনন্ত জলিলের সিনেমায় কাজ করার জন্য হিরো আলমের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী হিরো আলমকে সাইনিং মানিও দেন অনন্ত। তবে পরবর্তীতে আচরণগত কারণ দেখিয়ে হিরো আলমকে সিনেমা থেকে বাদ দেন ঢাকাই সিনেমার এ সুপারস্টার। এই নিয়ে হিরো আলমের হয়ে ভি'ডিও বার্তা দেন বিতর্কিত প্রবাসী সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদা। এই নিয়ে পা'ল্টাপা'ল্টি ভি'ডিও দেন অনন্ত জলিলও। যদিও শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন সেফুদা।