মুখ খুললেন আমির খান
বিনােদন ডেস্ক : বলিউডের নায়ক আমির খান ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষে আমির খানকে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু অসহিষ্ণুতাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার আমির খানকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী। ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া-র একি ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার মুখ খুললেন আমির খান। আজ বৃহস্পতিবার আমির জানান, ভিডিয়োয় তিনি না থাকলেও ভারত চিরদিনই 'ইনক্রেডিবল'-ই থাকবে। ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া-র ভিডিয়োর পৃচারনা মূলক একটি ভিডিয়োতে আমির খানকে রাখা হয় নি। গতকাল বুধবার এই বিষয় নিয়েই সাংবাদ মাধ্যমগুলোতে সংবাদ ছাপানো হয়। অনেকে মন্তব্য করেন, অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে মুখ খোলার কারণেই আমিরকে এই প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে পুরো প্রকল্প থেকে আমিরকে বাদ দেয়ার কথা জানালেও, পরে এই সিদ্ধান্তে পিছু হঠতে বাধ্য হয় প্রশাসন। সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে জানানো হয় সমগ্র প্রচার থেকে নয়, পর্যটনের ভিডিয়োতে আমিরকে বাদ রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সরকারি বিবৃতি ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে নিজেই জানালেন আমির। তিনি জানিয়েছেন, 'গত ১০ বছর ধরে ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া প্রচার প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে কাজ করে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। দেশের সেবা করে আমি খুশি এবং সর্বদা দেশের সেবা করতেও আমি প্রস্তুত রয়েছেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এ পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য যে কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছি, তার জন্য কোনও পারিশ্রমিক গ্রহণ করিনি। দেশের কাজ করা আমার কাছে সব সময় অতি সম্মানজনক, এবং চিরকাল এমনই মনোভাব পোষণ করব।' একই সঙ্গে তিনি জানান, 'কোনও প্রচারের জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করা হবে কি না, এবং এই দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তা সরকারের বিবেচ্য বিষয়। এই প্রকল্প থেকে আমাকে সরানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমি নিশ্চিত, দেশের ভালোর জন্য যা যা করণীয় সরকার তা সবই করবে।' বিবৃতিতে আমির এও বলেন, 'আমি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর থাকি বা না থাকি, ভারত চিরদিনই বিরাট বিস্ময় হয়ে থাকবে এবং সেটাই সত্যি।' ৭ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই