অবশেষে ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন ইলিয়াস
বিনোদন ডেস্ক : গেল ১১ অক্টোবরে হুট করেই আমেরিকা গিয়ে নিশাত নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী ইলিয়াস। কিন্তু বিয়ের তিন মাস পার না হতেই ডিভোর্স হলো তাদের! যা এখন মিডিয়াঙ্গনে সব থেকে বেশি আলোচ্য বিষয়।
এদিকে এ নিয়ে যখন পুরো মিডিয়াঙ্গন সরগরম, তখন মুখ খুললেন কণ্ঠশিল্পী ইলিয়াস। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কল্পনাও করতে পারেন নি ডিভোর্স হবে।
ইলিয়াস জানান, নিশাতের সঙ্গে আমার দেড় বছরের সম্পর্ক। অক্টোবর মাসে আমি আমেরিকা গেলে ও আমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। আমি শুরুতে আমার ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে রাজি হইনি। কিন্তু নিশাত ছিল নাছোড়বান্দা। আমেরিকায় গিয়ে আমি কণ্ঠ শিল্পী তানভীর শাহিন ভাইয়ের বাসায় ছিলাম। সেও ব্যাপারটা জানতো। একদিন নিশাত তার কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এসে আমাকে বিয়ে করার জন্য জোর করে। এর কারণ হিসেবে সে আমাকে জানায় আমার কথা সে তার পরিবারকে বলেছে। কিন্তু মিডিয়ার মানুষের সঙ্গে তার পরিবার বিয়ে দিতে নারাজ। তাই সে কাউকে কিছু না জানিয়ে আমার কাছে চলে এসেছে। যেহেতু নিশাতকে আমি ভালবাসতাম তাই তখন নিজের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা না করেই ওকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি কল্পনাও করি নি আমাদের ডিভোর্স হবে।
তিনি আরও জানান, বিয়ের দু-একদিন পরেই আমি দেশে চলে আসি। এরপর আমাদের নিয়মিত কথা হত। কিন্তু এক পর্যায়ে জানতে পারলাম আমাদের বিয়ের কথাটা নিশাতের পরিবার জানার পর ওকে অনেক মারধর করেছে। এর ফলে নিশাত বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। আমাকে জানানোর পর আমি আমেরিকায় আমার এক বন্ধুর বাসায় ওকে উঠতে বলি এবং ওর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওর পরিবার আমাকে আমার বিয়ের সংবাদটি মিডিয়ায় জানাতে বলে। আমি তাই-ই করি। এরপর সবকিছু ঠিক ঠাক করার জন্য আমেরিকা যাই। যাবার আগে নিশাতের পরিবারের কথা অনুযায়ী নিশাতকে ওর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসতে বলি আমার বন্ধুকে। আমেরিকায় গিয়ে নিশাতের বাড়ি যাওয়ার পর ওর পরিবার আমার সঙ্গে আলাপ করবে বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু আমি আমেরিকায় পৌঁছানর পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি আমার সঙ্গে। কোন উপায় না দেখে একটা সময় আমি দেশে ফিরে আসি আবার। সূত্র : প্রিয়.কম
০৮ জানুয়ারি, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�