সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ছোটবেলায় নিজের কষ্টের কথা শেয়ার করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা বর্ষা। তিনি অনন্ত জলিলের সহধর্মিণী। অনেকেই মনে করেন, বর্ষার জীবন অনেক সুখের ছিল। জন্মেছেন সোনার চামচ মুখে নিয়ে। বাস্তব হলো- বর্ষা সাধারণ পরিবারে বড় হয়েছেন। তাকে বড় হতে হয়েছে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে। জীবনের দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করেছেন বর্ষা নিজেই।
বর্ষা বলেন, ‘আমি খুব সাধারণ ঘরের মেয়ে। এমনও হয়েছে সকালে স্কুলে চলে গেছি না খেয়েই। কারণ আমার ঘরে খাবারও ছিল না। একদিন হঠাৎ স্কুলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার টিচার আমাকে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে ডিম-খিচুড়ি খাইয়েছিলেন।’
কথাগুলো বলতে বলতে বর্ষা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ‘আমার ৮-১০ বছর পর্যন্ত অনেক কষ্টে দিন কেটেছে। খাবারটাও ঠিকমতো পাইনি। তারপর আলহামদুলিল্লাহ, আমার ফ্যামিলি এই অবস্থা ওভারকাম করতে পেরেছে।’ নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন বর্ষা।
এই চিত্রনায়িকা আরোও বলেন, ‘প্রাইমারি শেষ করে হাই স্কুলে যাওয়ার পরও টিচারদের ভালোবাসা পেয়েছি। বার্ষিক অনুষ্ঠানে নাটক করতে শিক্ষকরা আমাকে ছেলেদের চরিত্র দিতেন। একবার চেয়ারম্যান চরিত্রে অভিনয় করে কলম উপহার পেয়েছিলাম।’
২০০৭ সালে অনন্ত জলিল প্রযোজিত ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন অনন্ত-বর্ষা। এই সিনেমায় অনন্তের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।