বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের হার্টথ্রব সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনের আজ ৪২ তম জন্মদিনে। তার জন্মদিনকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত তার ভক্ত অনুরাগিরা। তবে জন্মদিনকে ঘিরে জমকালো কোন আয়োজনই এবার করছেন না তিনি।
২০০০ সালে মুক্তি পায় রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’। বলিউড পায় এক নতুন ‘হিরো’কে। একটি ছবিতেই ‘খান’-দানকে চুরমার করে বক্স-অফিসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে রাকেশ পুত্র হৃত্বিক।
কেরিয়ারের শুরুতেই অভিনয়ের দিকে বেশি নজর দেন তিনি। ফল, ‘ফিজা’ বা ‘মিশন কাশ্মীর’-এর মতো ছবিতে নেগেটিভ চরিত্র। যদিও বক্স-অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে দু’টি ছবি।
পরবর্তীতে অবশ্য নিজের ‘হিরো ইমেজ’ রি-কভার করতে বেশি একটা সময় নেননি তিনি। কিন্তু, ‘ইঁয়াদে’, ‘মুঝসে দোস্তি করোগি’ বা ‘ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ’-এর মতো ছবিতেও হৃত্বিক কারিশমা অধরাই থাকে।
তবে নতুন করে দর্শক হৃদয় তিনি আবার জয় করলেন বাবার হাত ধরেই। ২০০৩-এ মুক্তি পায় ‘কোই মিল গ্যায়া’। ছবিতে হৃত্বিক নিজের অভিনয় দক্ষতা এবং হিরোইজম, দুই’ই দেখানোর সুযোগ পান। সুপার হিট হয় এই ছবি।
ফারহান আখতারের ‘লক্ষ্য’ করার পরেই চরিত্র এবং ছবি, দুয়ের ক্ষেত্রে বড় বেশি সিলেক্টিভ হয়ে পড়েন হৃত্বিক। বছরে একটা বা কখনও দু’বছরেও একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার।
কিন্তু, ‘কাইটস’, ‘যোধা-আকবর’ তাকে নিয়ে গিয়েছে অন্য উচ্চতায়। ঝুলি ভরে যায়, একাধিক সেরা অভিনেতার তকমায়।
সমালোচকরা বলেন জীবনের সেরা অভিনয় ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন হৃত্বিক। ছবির নাম ‘গুজারিশ’।
একইসঙ্গে বহুযুগ পরে ‘ক্রিশ’-এর সৌজন্যে এক ‘সুপারহিরো’ পেয়েছে ভারতীয় সিনেমা।
মুম্বাই চলচ্চিত্র জগত থেকে তামাম সিনেমাপ্রেমীর হৃদয় জয় করে ফেলেছেন এই অভিনেতা তার অসাধারণ নাচের মাধ্যমে। ভারতীয় সিনেমা শেষ কবে এমন পরিপূর্ণ হিরো পেয়েছে, তা বলা দুষ্কর।
১০ জানুয়ারি, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন