এই সময়ে সবচেয়ে আলোচিত নায়িকা পরীমনি বিভিন্ন অভিযোগে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক। এদিকে অবৈধ মাদকদ্রব্য রাখা, পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় তিনি এখন চার দিনের রিমান্ডে। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। হতে পারে অর্থদণ্ডও। তবে রিমান্ড শেষে অন্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা আরও বাড়বে।
পরীমণির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার এজাহার অনুযায়ী, তার বাসা থেকে সর্বমোট ২ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে র্যাব। এর মধ্যে শুধু মদ উদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকার।
এজাহারে বলা হয়, বনানীর ১৯/এ সড়কের ওই বাড়ির ৫ম তলায় বিপুল পরিমাণ মাদক মজুত আছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে যায় র্যাব। এরপর ঐ বাসা থেকে পরীমণি ও দীপুকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ও দেখানো মতে ১৯টি বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ জব্দ করা হয়।
যার পরিমাণ ১৮ দশমিক ৫ লিটার। প্রতি লিটার বিদেশি মদের আনুমানিক মূল্য ৯ হাজার টাকা হিসাবে এসব মদের মোট দাম ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ভয়ংকর মাদক আইস ও ৫ হাজার টাকা মূল্যের এলএসডি জব্দ করা হয়। এ সময় বাসা থেকে আরও বিদেশি মদের খালি বোতল ও মাদক সেবনের অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এ সময় পরীমণি ও দীপু কেউই এসব মাদকের বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শনে ব্যর্থ হয় এবং এ বিষয়ে তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি বা লিটারের বেশি এবং ১০০ কেজি বা লিটারের কম হলে কমপক্ষে তিন বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হবে।