একসময়ের পর্দা কাঁপানো অভিনেতা আহমেদ শরীফ এখন অভিনয়ে ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে মেয়ের পড়ালেখার জন্য পরিবারসহ পাড়ি জমিয়েছেন। কয়েকদিন আগে দেশে ফিরেছেন এই গুণী অভিনেতা। বুধবার (০৩ নভেম্বর) তথ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন সচিবালয়ে। সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যম কেন্দ্রে মিডিয়ার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করেন আহমেদ শরীফ।
দীর্ঘ দিনের অভিনয় জীবন, বর্তমানে প্রবাস জীবন কেমন কাটছে তা নিয়ে বিস্তর কথা বলেন সাড়ে আটশ’ সিনেমায় অভিনয় করা এই গুণী শিল্পী।যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাস জীবন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার সবকিছু আছে সেখানে, তারপরেও মনে হয় কিছুই নেই! মনে হয় আমার ভিতরে হৃদয়টা খালি। সেখানে চেনা চেহারাগুলো নেই। আমি যেটা ৫০ বছর শুনেছি- লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন; সেটি নেই। আমার পরিচালকদের চেহারা নেই। যাদের সঙ্গে জীবন কাটালাম তারা সেখানে নেই। অনেক কষ্ট করে থাকতে হয়। এই বয়সে নিজের বেশি কষ্ট। সেখানে আমার সময় কীভাবে চলে যাচ্ছে, ২/৩ ঘণ্টা কীভাবে দ্রুত চলে যাচ্ছে। আর আমেরিকাতে এক ঘরে বসে পত্রিকা পড়া, টিভি দেখা। পুরনো সিনেমা যেগুলো দেখা হয়নি সেগুলো ইউটিউবে দেখি। ’
এই বয়সে তিনি আর কী করেন জানতে চাইলে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় একটা কাজ করে ফেলেছি, সেটা হচ্ছে বাংলায় কোরআন শরীফ পড়ে শেষ করতে পেরেছি। কোরআন শরীফে কী নির্দেশ, আমি যখন মুখস্থ কোরআন শরীফ পড়তাম ছেলেবেলায়, তখন কিছুই বুঝতাম না। এখন বাংলায় কোরআন শরীফ পড়ে প্রত্যেকটি আয়াত কলবের মধ্যে, আত্মার মধ্যে ঢুকে গেছে। আল্লাহতায়ালা রসুলকে কী বলেছেন, মানুষের জন্য কোনটি উপকারী এবং কোনটি উপকারী না। কেমন শাস্তি, কোনটির জন্য। আমার সব থেকে উপকার হয়েছে- কোরআন শরীফ পড়ে আমার ধর্মকে এতো দিন পরে হলেও আমি বুঝতে পেরেছি এবং সেভাবে দিনানিপাত করছি। নামাজ, কোরআন শরীফ পড়া- এগুলোই আমার কাজ। ’