বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২, ০১:১৪:১৭

মৃত্যুর পরদিনই শিল্পী সমিতির সদস্য হয়ে গেলেন রাইমা শিমু

মৃত্যুর পরদিনই শিল্পী সমিতির সদস্য হয়ে গেলেন রাইমা শিমু

বিনোদন ডেস্ক : স্বামীর হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু। তার মৃত্যুতে শোক নেমেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বেশ আলোচনা চলছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। শিমুর মৃত্যু বেশ মোটা দাগে প্রভাবিত করেছে চলমান শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে।

২০১৭ সালে মিশা-জায়েদ প্যানেল কমিটি ক্ষমতায় আসার পর শিমুর ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। তার সদস্যপদ বাতিল করে দিয়ে সহযোগী সদস্য করা হয়৷ সদস্য হিসেবে সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। সেই ক্ষোভে নিজের ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করেছিলেন শিমু। নানা সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। 

এর ফলে সমিতি থেকে ভোটাধিকার হারানো আলোচিত ১৮৪ জন শিল্পীর একজন হিসেবেই তাকে চেনে সবাই। গেল চার বছর ধরে যিনি সহযোগী সদস্য থেকে নিজের সদস্যপদ ফিরে পেয়ে ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন, সেই শিমু মৃত্যুর পরদিনই সমিতির সদস্য হয়ে গেলেন অনায়াসে!

১৯ জানুয়ারি এফডিসিতে দেখা গেল শিমুর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ব্যানার তৈরি করেছে মিশা-জায়েদ প্যানেল। যার একটি দেয়া হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নামে, অন্য একটি আছে মিশা-জায়েদ প্যানেলের নামে। ব্যানারগুলোতে শিমুর পরিচয় দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সদস্য চিত্রনায়িকা শিমু’। এই পরিচয় দৃষ্টি কেড়েছে সবার। জন্ম দিয়েছে আলোচনারও।

অনেকে বিষয়টিকে মৃত শিমুর সঙ্গে উপহাস হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, যে শিমুকে মিশা-জায়েদ নেতৃত্ব সদস্য থেকে সহযোগী সদস্য বানিয়ে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলো সেই তারাই মৃত্যুর পর তাকে সদস্য বানিয়ে দিলো। শিমুর মৃত্যুর আবেগকে কাজে লাগিয়ে শিল্পীদের সমর্থন নিজেদের দিকে টানতেই এই কৌশল অবলম্বন করছে তারা।

ভোটের রাজনীতি গেল চার বছর ধরে শিল্পী সমিতিতে অবহেলিত শিমুকে যেন গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। তাকে নিয়ে কথা বলে আবেগ ছড়াতে পারলেই যেন লাভ। আর সেই লাভই ঘরে তোলার চেষ্টা চলছে। শিল্পীদের মধ্যে প্রচলিত আছে ২০১৭ সালে মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিপক্ষে গিয়ে মৌসুমীর প্যানেলকে সমর্থন দেন শিমু।

সেজন্যই মিশা-জায়েদ প্যানেল নির্বাচিত হয়ে সমিতির মসনদে বসে তার ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। সদস্য থেকে সরিয়ে সহযোগী সদস্য করে। তবে শিমুর ভোটাধিকার বাতিলের ব্যাপারে তৎকালীন সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘শিল্পী সমিতির সংবিধান অনুযায়ী টানা ২ বছর চলচ্চিত্রে কাজ না করায় শিমুর ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। তার সদস্যপদ বাতিল করে সহযোগী সদস্য করা হয়।’

১৯ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যার পর এফডিসিতে দেখা গেল শিমুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন। এই আয়োজন করেছেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের প্রার্থীরা৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিমুর ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন। মিলাদ শেষে তিনি বোনকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷ এসময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খান ও উপস্থিত শিল্পীরা তাকে সান্ত্বনা দেন। সবার কাছে মৃত বোনের জন্য দোয়া চান খোকন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে