বিনোদন ডেস্ক : শুটিংয়ে নিজেকে সব সময় মেলে ধরলেও, চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি যে গত দু'বছর ধরে কিছুটা মন খারাপ করে বেঁচে আছেন সেটা হয়তে অনেকেরই জানা নেই। জানা হতো না যদি বিমানবন্দরে তার মাকে দেখে না কাঁদতেন। সম্প্রতি এমনটাই ঘটে গেল এই নায়িকার জীবনে।
করোনার জন্য দু’বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াতে ছিলেন তার মা। আর মায়ের জন্য প্রত্যেক সন্তানেরই আবেগ থাকে। সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ঘুরতে গিয়েছিলেন ববির দুই বোনের কাছে। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করেন। তবে লকডাউন ও ভিসা নিয়ে নানান জটিলতায় আটকা পড়েছিলেন ববির মা। যার ফলে ববি মায়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
কবে দেশে ফিরবে আর মাকে তিনি দেখতে পারবেন। অবশেষে সব জটিলতা পার করে দেশে ফিরলেন ববির মা। ববি বলেন, ‘আসলে বাবার মৃত্যুর পর অনেক দিন ধরেই মা দেশে ও দেশের বাইরে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। তখন নিজেকে খুব একা মনে হতো। মা ছাড়া কীভাবে থাকে মানুষ সেটাই আমার কাছে অবাক লাগে।
তিনি বলেন, এবার অনেক লম্বা সময় ধরে মা আমার দুই বোনের কাছে রয়েছে। যদিও এত দিন ধরে থাকার কথা না। কিন্তু লকডাউনে সবই তো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল; যার জন্য এমনটা ঘটল। আমি অনেকটা এতিমের মতো ছিলাম এত দিন। মাকে নিয়ে চিন্তা হতো সব সময়। খুব বেশি খারাপ লেগেছিল ঘরবন্দি সময়টাতে। লকডাউনের প্রথম দিকে আটকে পড়লেও পরে আমার দুই বোনের সন্তান হয়। এর জন্য মায়ের দেশে আসা আরও পিছিয়ে যায়। এদিকে আমিও করোনার জন্য যেতে পারছিলাম না।’
বিমানবন্দরের ঘটনা নিয়ে ববি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে মা আসবে শুনে বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেছি। কি যে খুশি হয়েছি মাকে এখন কাছে পেয়ে। মনে হলো আমার প্রাণ ফিরে পেলাম। বিমানবন্দরে মাকে প্রথম দেখে আমি কোনো কথাই বলতে পারিনি। ঠিক এই সময় মা আমাকে দেখে কেঁদে ফেলেন। আমিও দীর্ঘদিন পর মাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে কাঁদতে থাকি।’