বিনোদন ডেস্ক : আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে চলছে তারকাদের প্রচারণা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বিএফডিসিতে শিল্পীসহ বহু মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। দুটি প্যানেলে এবার নির্বাচনে লড়ছে মিশা-জায়েদ প্যানেল ও ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল।
এই প্রচারণা মধ্যেই আলোচনায় এসেছে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির নাম। গতবারের শিল্পী সমিতির মিশা-জায়েদ প্যানেলের সদ্যসরা পরিমণির সাথে অন্যায় করেছে বলে দাবি করেছেন চিত্রনায়ক আলমগীর। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল থেকে মঙ্গলবার ২৫ জানুয়ারি সব প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচিতি সভার ঘোষাণা দেওয়া হয়েছিল। দুপুর ৩টা পর শুরু হয় এই সভা।
এই সভায় প্যানেলের পক্ষে সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন সিনিয়র এই নায়ক। তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৮৪ জন সদস্যকে নাকি আমরা বাদ দিয়েছি! কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের কি কাউকে বাদ দেওয়ার অধিকার আছে? এটা হলো কার্যনিবার্হী পরিষদের কাজ।’
এবারের এই নির্বাচনে পরীমণি কাঞ্চন-নিপূণ প্যানেল থেকে প্রার্থী হলেও শেষ মুহূর্তে তিনি নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে সেসময় জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। গত বছর পরীমণির মাদককাণ্ডে তার পাশে না থেকে উল্টো তার সদস্যপদ স্থগিত করে দিয়েছিল সাবেক প্যানেল।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরীমণি আমাদের ছোট বোন। আপনারা সবাই জানে তার কিছুদিন আগে একটা প্রবলেম দাড়িয়েছিল। নানা ভোগান্তির মধ্যে তাকে পড়তে হয়। এরমধ্যে একটা ভোগান্তি ছিল কোর্টের বিচারের আগেই তড়িঘড়ি করে তার সদস্যপদ স্থগিত করে দেওয়া হয়। বিচার তো তখনও শেষ হয়নি তাহলে কি করে শিল্পী সমিতি পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করলো? সেখানে বলা হয়েছিল, আমিও মতামত দিয়েছি যাতে পরীর সদস্যপদ স্থগিত করে দেওয়া। অথচ তখন আমার কোন মন্তব্যই তারা গ্রহণ করেনি। বরং যেটা বলেছি তার উল্টোটা করেছি।’