বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শুধু শিল্পীরা ছাড়া চলচ্চিত্রের বাকি ১৭টি সংগঠনের কেউই এফডিসিতে প্রবেশ করতে পারেননি। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শাহ আলম কিরণ, বদিউল আলম খোকন, এমনকি পরিচালক সমিতির বর্তমান মহাসচিব শাহীন সুমনও প্রবেশ করতে না পেরে রাস্তায় অবস্থান নেন।
অন্যদিকে প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমানসহ আরো অনেক প্রযোজক হয়রানির শিকার হয়েছেন, ঢুকতে পারেননি। ঘটনার পরদিনই সংবাদ সম্মেলন করে ১৭টি সংগঠন সরাসরি এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে।
তারা দাবি করে, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বেচ্ছাচারিতা এর জন্য দায়ী। শুধু তাই নয়, বর্তমান এমডিকে অপসারণের দাবি তুলে গতকাল এফডিসিতে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এরপর দুপুর গড়াতে গড়াতে তাদের অনেকেই এফডিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে অভিনেতা আলমগীরকে চেয়েছেন। বিষয়টি আলমগীরের কানেও পৌঁছেছে।
আলমগীর বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। চলচ্চিত্রের মঙ্গল চাই সব সময়। আমার এই বিশেষ পদের দিকে কোনো লক্ষ্য নেই। তবে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা চাইলে আমি তাদের চাওয়াকে অবশ্যই সম্মান জানাব।’ এদিকে আলমগীর এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলে বিপ্লব ঘটবে বলে দাবি করেন প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
খসরু বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে যেটা ঘটে চলেছে সেটা সম্পূর্ণ অনুচিত। এককথায় বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই নয়। আলমগীর ভাই আপাদমস্তক চলচ্চিত্রের মানুষ। তিনি চলচ্চিত্রের খুঁটিনাটি সব কিছুই জানেন। আমাদের কোথায় কী ঘাটতি সেটাও তার নখদর্পণে। এমন একজন মানুষ এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলে তো আমাদের সবার জন্য মঙ্গল।’
পরিচালক সমিতির বর্তমান সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, আলমগীর ভাইকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চাওয়াটা আমাদের এখন আর মৌখিক দাবি নয়। আমরা শিগগির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। লিখিত আকারেও দাবি জানাব। বর্তমান চলচ্চিত্রে আলমগীর ভাইয়ের মতো পরিষ্কার মন-মানসিকতার মানুষ কম আছেন। সবার বিপদ-আপদে তিনি হাজির হন। শুধু তাই নয়, সাংগঠনিকভাবে তার অভিজ্ঞতা দারুণ।