বিনোদন ডেস্ক : সারাদেশে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়ে অবশেষে গত শুক্রবার বেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো এবারের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ইলিয়াস কাঞ্চন আর সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের জায়েদ খান।
তবে এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত পরাজয় বরণ করতে হলো শুরু থেকেই বেশ আলোচনায় থাকা ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ। কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়ে হেরেছেন তিনি। তার সঙ্গে একই পদে হেরেছেন ডি এ তায়েবও। এদিকে দু’জনের ভোটের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৫৬ ও ১১২। এই পদে জিতেছেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২১৯ ভোট) এবং মাসুম পারভেজ রুবেল (১৯১ ভোট)।
একটু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এবারের নির্বাচনের শুরু থেকেই নিজ প্যানেলের জন্য সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন রিয়াজ। শিল্পীদের পাশে থাকার আশ্বাসে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন নিয়মিত। সংবাদমাধ্যম ও শিল্পীদের সঙ্গে আলাপের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্যানেলের মুখপাত্রের মতো।
একটু পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, মূলত নিজ প্যানেল কাঞ্চন-নিপুণকে জেতাতে গিয়েই হেরেছেন রিয়াজ। বলা যায় পুরো নির্বাচনে সবচেয়ে বড় আত্মত্যাগও স্বীকার করেছেন এই নায়ক। শুধু কী তাই, নির্বাচনের দিন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা যখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বুথের বাইরে থেকে সবার কাছে ভোট চেয়েছেন, ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরেছেন, ভোট দেয়ার আবদার করেছেন, নায়ক রিয়াজ তখন অতন্দ্র প্রহরীর মতো বুথের ভেতরে নিজ প্যানেলের ভোট পাহারায়। ফলে কোনো ভোটারের সঙ্গেই এদিন তার কথা বলার, ভোট চাওয়া সুযোগ হয়নি। রিয়াজ বুথের বাইরে থেকে অন্য প্রার্থীদের মতো কাজ করতে পারলে, ভোট চাইতে পারলে ১৫৬ ভোটের জায়গায় তার ভোটটা আরও বেশি হতে পারত, তিনি জিততেও পারতেন!
এদিকে রিয়াজ জানতেন, তিনি বাইরে থেকে ভোট চাইলে হয়ত জিতে যাবেন। কিন্তু তার মনে শঙ্কা ছিল, বুথের ভেতরে অন্যরকম কিছু হয়ে যেতে পারে। আর সে কারণেই নিজ প্যানেলের ভোট পাহারার দায়িত্ব তুলে নেন কাঁধে। তাই দিনশেষে হেরে গেলেও কোনো আফসোস নেই এই নায়কের।