বিনোদন ডেস্ক: বিগত দুই টার্ম একসাথে কাজ করেছেন। চার বছর একসাথে থাকতে থাকতে সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর মতো হয়ে গেছে এমনটাই বলেছিলেন জায়েদ খান। নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েও মন খুলে উদযাপন করেননি কারণ সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগরের জন্য খুব মন খারাপ ছিল জায়েদ খানের।
মিশা জায়েদের প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছিলেন ১৯১ ভোট। অন্যদিকে মিশা সওদাগর পেয়েছিলেন ১৪৮ ভোট। সেই মিশা সওদাগরই গত রোববার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ পড়ালেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ আক্তারকে।
তার শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে জায়েদ খান বলেন, মিশা ভাই সিনিয়র মানুষ। আগে দুবার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে এসে নতুন সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। শিল্পীদের মধ্যে তো কোনো দলাদলি নেই। তাকে ফোন করেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গিয়ে শপথ পড়িয়ে সভাপতির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। মিশা ভাই শিল্পীসুলভ আচরণ করে আরও বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। আসলে আমাদের শিল্পী সমিতির সংবিধানে শপথ বলতে তেমন কিছু নেই। এটা একধরনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া। তবে এই শপথ প্রতীকী হলেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি পবিত্রতা। একজন বাদে সবাইকে শুভেচ্ছা। সবার শপথ ঠিক আছে কিন্তু নিপুণের শপথ অবৈধ। নিপুণ এই শপথের জন্য যোগ্য নন।