বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় এই অভিনেতার প্রথম প্রয়াণদিবসটি গেল অনেকটাই নীরবে, নিভৃতে। যদিও পারিবারিকভাবে ঢাকার সূত্রাপুরে কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে কোনো আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন ছিল না।
এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ বলেন, ‘আজ সূত্রাপুরের বাসায় কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। নারিন্দা থেকে লোক এনে খাবার রান্না করে দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছি আমরা। এ ছাড়াও আমার মা নোয়াখালীর একটি মসজিদে কিছু দান-খয়রাত করেছেন। এভাবেই বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী কেটে গেল। ’
গণমাধ্যমে বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তেমন কোনো আয়োজন চোখে না পড়ায় আক্ষে'প ঝরল কোয়েলের গলায়। তিনি বলেন, ‘বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল অথচ দেশের গণমাধ্যমগুলো বাবাকে সেভাবে স্মরণ করেনি। ফেসবুকে অনেকেই স্মরণ করেছেন, অনেকে শোকবার্তা জানাচ্ছেন; কিন্তু বাবা তো ফেসবুকের অভিনেতা ছিলেন না। এফডিসিতেও আজ ছিল না কোনো আয়োজন। তবে তিন দিন [১৭ ফেব্রুয়ারি] আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় বলে জানালেন অভিনেতা মামনুন ইমন।
শিল্পী সমিতির এই কার্যনির্বাহী সদস্য বলেন, ‘আমরা এই শক্তিমান অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া চেয়ে ব্যানার টানিয়েছি। আর তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে ১৭ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতির ভেতরে মিলাদের আয়োজন করেছিলাম। ’
গত বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এ টি এম শামসুজ্জামানকে। তার অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি মারা যান জনপ্রিয় এই অভিনেতা।