রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১০:০৮:৩১

পা'নীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আমাকে উ'ল'ঙ্গ করে, সে নিজেও অ'র্ধন'গ্ন হয়ে ভি'ডিও করে: ইলিয়াস

পা'নীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আমাকে উ'ল'ঙ্গ করে, সে নিজেও অ'র্ধন'গ্ন হয়ে ভি'ডিও করে: ইলিয়াস

বিনোদন ডেস্ক : বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই ভা'ঙ্গনের মু'খে পড়ে অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহ ও আলোচিত গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের সংসার। শেষ পর্যন্ত আইনী ল'ড়াইয়ে একে অপরের বিরু'দ্ধে অভি'যোগ দা'য়ের  করে। এদিকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন ইলিয়াস। আজ রবিবার তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এই সংগীতশিল্পীর অভি'যোগ, সুবাহ গত বছর ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফেসবুকে ইলিয়াসকে নিয়ে মা'নহা'নিকর নানা মি'থ্যা ত'থ্য উপস্থাপন করেছেন। এমনকি স্বামীর বিরুদ্ধে মি'থ্যা মা'মলাও করেছেন। ইলিয়াস এতদিন চু'প থাকলেও এবার এসব কারণে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।

মা'মলাটি এখন তদ'ন্তাধীন রয়েছে। মা'মলার এজা'হারে ইলিয়াস বলেছেন, ‘হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে ইলিয়াসকে প্রথম দেখেন সুবাহ। তাকে দেখতে সাবেক প্রেমিক ক্রিকেটার নাসিরের মতো মনে হয় নায়িকার। সুবাহ নিজেই ইলিয়াসের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন এবং নিজেকে নায়িকা হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর ইলিয়াসের সঙ্গে থাকা বন্ধুর কাছ থেকে এই গায়কের ফোন নম্বর নেন। রাতে বাসায় ফিরে তাকে ফোন দেন সুবাহ। এক পর্যায়ে ইলিয়াস তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলে সুবাহ ইলিয়াসের বন্ধুকে ফোন দেন। সেই বন্ধুর মাধ্যমে ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ইলিয়াসকে নিজের বাসায় যেতে বাধ্য করেন সুবাহ।’

‘পরে সুবাহর বাসায় যাওয়ার পর কো'মল পা'নীয়ের সঙ্গে ঘু'মের ওষুধ মিশিয়ে সে আমাকে খাওয়ায়। আমি বে'হুঁ'শ হয়ে পড়লে আমাকে উ'ল'ঙ্গ করে এবং সে নিজেও অ'র্ধ'ন'গ্ন হয়ে অ'ন্ত'র'ঙ্গ ছবি তোলে ও ভি'ডিও ধারণ করে। এমনকি আমি অ'জ্ঞা'ন থাকা অব'স্থায় সে আমার ফোন থেকে স্ত্রী কারিন নাজ, পরিবারের সদস্য ও ফোনবুকে থাকা ২০-৩০ জনের নম্বর নিয়ে নেয়। 

এরপর সে আমাকে ব্ল্যা'কমেই'ল করে ৫০ লক্ষ টাকা দা'বি করে। টাকা না দিলে আমার আপ'ত্তি'কর ছবি ও ভি'ডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হু'মকি দেয়। তার এমন কা'ণ্ডে আমি ভ'য় পেয়ে যাই এবং মা'নসিকভাবে বিপর্য'স্ত হয়ে পড়ি’ বলেও উল্লেখ করেছেন ইলিয়াস।

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘সুবাহর দাবীকৃত ৫০ লক্ষ টাকা দিতে না পাড়ায় আমি চু'প থাকি। নি'রুপায় হয়ে আমি তাকে অনুরোধ করি, ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই ধা'রদেনা করে ৫ লক্ষ টাকা দিতে পারি। এ অনু'রোধ শুনে সুবাহ জানায়- আমার টাকা দেওয়ার দরকার নেই। বিনিময়ে তাকে আমার বিয়ে করতে হবে। তার এই প্র'স্তাবে রাজি না হলে সে আমার ছবি ও ভি'ডিও ছড়িয়ে দিতে চায়। বা'ধ্য হয়েই আমি তার কথামতো চলতে থাকি। বিয়ে করতে বাধ্য হই।’

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ‘বিয়ের পরদিনই সুবাহ জানায় তার বাসার ৩ মাসের ভাড়া বাকি। স্বামী হিসেবে আমাকে বাসার ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। তার চা'পে আমি সেটা পরিশো'ধ করি। দিন দিন সুবাহর চাহিদা বাড়তেই থাকে। ঢাকায় তার স্থায়ী ঠিকানা নেই জানিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ও একটি হ্যারিয়ার গাড়ি কিনে দিতে চাপ দেয়। 

ব্যবসার অবস্থা ভালো নেই জানিয়ে আমি বিষয়টি এড়িয়ে যাই। পরবর্তীতে সে গুলশানে একটি 'স্পা' সেন্টার খুলে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। আমি বুঝতে পারি, সুবাহ পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমার কাছ থেকে ফ্ল্যাট, গাড়িসহ আরও বড় কিছু হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ব্ল্যা'কমে'ইলিংয়ের ফাঁ'দে ফেলেছে।’

নি'র্যাতনের কথা উল্লেখ করে ইলিয়াস বলেছেন, ‘সুবাহ আমাকে মা'রধ'র করতো। এমনকি সে নিজের গায়েও আঘা'ত করে ফেসবুক লাইভে এসে আমার ওপর দোষ চা'পাতো। আমার স্ত্রীকে (কারিন নাজ) ডি'ভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিতো। আমার দিক থেকে সাড়া না পেয়ে অ'ত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতো।’ 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে