বিনোদন ডেস্ক : বাংলার এক জনপ্রিয় ওটিটি মাধ্যমে আসতে চলেছে নতুন ওয়েব সিরিজ 'সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর' কিন্তু সেখানে কেউ বিদ্যাসাগরের জীবনী দেখবেন বলে আশা করে থাকলে সম্পূর্ণ ভুল ভাবছেন কিন্তু সেখানে কেউ বিদ্যাসাগরের জীবনী দেখবেন বলে আশা করে থাকলে সম্পূর্ণ ভুল ভাবছেন।
বরং, সেখানে আলাদা আলাদা ৪জন নারীর চরিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। তারা হল যথাক্রমে, পার্বতী, বৃন্দা, মুমতাজ আর ইমন। আপাত বিরোধী এই চারটি মহিলা চরিত্রের জীবনে একটাই মিল, আর তা হল বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের জীবন সংগ্রাম। আর সেখানেই পার্বতীর চরিত্রটি খুবই স্ট্রং। তাই চিত্রনাট্য শুনে এক কোথায় সেটি করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ঊষসী রায়।
এই সিরিজে দেখা যাবে কুমিরখালি গ্রামে বিধবা পল্লীতে সকল বিধবা মহিলাদের বসবাস। সেখানকার বাসিন্দারা বিধবা হলেও পরিবারের সঙ্গে থাকার অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু তা হলে হবে কী, বিধবা পল্লীর বাসিন্দাদের নানা সমস্যা, গ্রামের হত্তা-কর্তা দের কু-প্রস্তাব, নানা রকম অন্যায়ের শিকার হতে হয় তাদের। আর সেখানেই প্রতিবাদী চরিত্র হল পার্বতী। সব বাধা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত সে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে কিনা তাই হল এই কাহিনীর মূল বিষয়।
ঊষসী বলেন, নারীজীবন সব সময়েই সমস্যা জর্জরিত। সধবা, বিধবা, একা বা অবিবাহিত, যাই হোক। ঈশ্বর বোধহয় যন্ত্রণা, কটাক্ষ সহ্য করতেই নারীকে সৃষ্টি করেছেন। সারাক্ষণ কিছু না কিছু বিষয়ে তাকে সমাজের শাসন, মন্তব্য শুনতেই হবে। তবু 'বিধবা নারী' ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আমলের থেকে এই প্রজন্মে তুলনায় অনেকটাই ভাল আছেন। বিধবা হওয়ার পরে অনেক সময় যেমন শ্বশুরবাড়ি দেখে না তেমনি অনেকে মেয়ের সম্মান দিয়ে আবার বিয়েও দেন তার। ভাল-মন্দ এ ভাবেই আগেও ছিল আগামী দিনেও থাকবে।