বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২, ১২:১৫:২০

'ভুল বোঝাবুঝি না মিটিয়েই চলে গেলে', অভিষেকের মৃত্যুতে স্তম্ভিত প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা

'ভুল বোঝাবুঝি না মিটিয়েই চলে গেলে', অভিষেকের মৃত্যুতে স্তম্ভিত প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা

বিনোদন ডেস্ক : সহকর্মী অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের আকস্মিক প্রয়াণে স্তম্ভিত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ইন্ডাস্ট্রি অভিষেক এবং প্রসেনজিতের মধ্যে ডুয়েল লড়াতে চাইলেও দুই অভিনেতার মধ্যে বরাবর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। অভিষেকের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে প্রসেনজিৎ তাঁকে এবং ঋতুপর্ণাকে নিয়ে ছবি করেছেন। সহকর্মীর আকস্মিক প্রয়াণে প্রায় বাক্রুদ্ধ অভিনেতা।

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘একের পর এক আমায় মৃত্যু দেখে যেতে হয়। আর প্রতিক্রিয়া দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু অভিষেকের খবরটা সকালে শোনার পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছি, এর প্রতিক্রিয়া আমি দিতে পারব না। ওর বিয়েতে বরকর্তা হয়ে গিয়েছিলাম আমি। সেই দিনটার কথা আজ মনে পড়ছে। ওর সঙ্গে যা কিছু ভাল স্মৃতি সেটাই রেখে দিতে চাই। এর বেশি সত্যি ওর জন্য আমি আর কোনও শব্দ ব্যবহার করতে পারছি না।’’

ঋতুপর্ণা বলেন, মিঠু (অভিষেকের ডাক নাম) কী করে এ ভাবে চলে যেতে পারে? টেলিভিশনে আজকাল দেখে বুঝতাম ও শরীরের যত্ন নিচ্ছে না। ঘুম খাওয়া কিছুই ঠিক সময়ে করত না। ওর মনে হয়তো অনেক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। প্রসেনজিতের পরে সবচেয়ে বেশি ওর সঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের জুটি তো সুপার ডুপার হিট! ওর চলে যাওয়াটা বাংলা সিনেমায় শূন্যতা সৃষ্টি করবে। মিঠুর মতো অভিনেতারা বাংলা সিনেমার খরার সময় এসে ধরে রেখেছিল এই ইন্ডাস্ট্রিকে। স্বপন সাহার 'সুজন সখী' তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল এই ইন্ডাস্ট্রি।

ঋতুপর্ণা আরও বলেন, এত ভাল বন্ধুত্ব আমাদের, তবে হঠাৎ ভুল বোঝাবুঝি হল। আমি সবসময়ই ওর সম্পর্কে ভাল কথাই বলেছি। কিন্তু তাও... কী যে হল! ও আমায় বুঝল না। এমন কথা বলেছিল আমার সম্পর্কে যা সত্যি নয়। খুব মনখারাপ লাগছে। ওর জীবনে মৃত্যু এ ভাবে চলে আসবে বুঝিনি। এই বয়সে কেন চলে গেল? নিজের দিকে তাকাল না? মনটা খচখচ করছে। আর তো কথা হবে না মিঠুর সঙ্গে! আমাদের ভুল বোঝাটা কি রয়েই গেল মিঠু?

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে