বিনোদন ডেস্ক : সে এক আশ্চর্য প্রেম-কাহিনি। ‘টাইটানিক’-এর টিত্রনাট্যও মনে হয় ম্লান হয়ে যাবে এর পাশে। প্রবল আবেগ আর মানবিকতার সংমিশ্রণে এ কাহিনি এক অনন্ত জীবনও লাভ করতে পারে। এই প্রেমিক যুগল হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতের কিংবদন্তি। আর তাদের নিয়ে লেখা হতে পারে রূপকথা গল্প।
রূপকথার রাজকুমারীকে নায়ক রাজকুমার যখন প্রথম দেখেছিলেন, তখন তিনি ১২ বছরের বালিকা। আর তিনিও তখন ‘কুমার’ নন। রীতিমতো ৩৮ বছরের এক পরিণত এবং বিবাহিত পুরুষ। প্রথম দর্শনেই প্রেম আবং একসময়ে পরিণয়-পাশে আবদ্ধ হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী সেলিন ডিওন এবং রনে অ্যাঞ্জেলিল।
সেই সময়ে রনেও প্রথিতযশা সংগীত-ব্যক্তিত্ব। কিন্তু স্ত্রীর ক্যারিয়ারকেই প্রাধান্য দিলেন। আর নিজে হয়ে গেলেন সেলিনের ম্যনেজার। ১৯৯৮ সালে গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে রনের। স্বামীর আরোগ্যের জন্য সাময়িকভাবে সংগীতজগৎ থেকে সরে আসেন সেলিন। বিরাট লড়াই সফল হয়। অনেক দিন পরে রোগমুক্ত হন রনে। কিন্তু ২০১৫ থেকে আবার অসুস্থতা দেখা দেয়। গত ১৪ জানুয়ারি রনে চলে গেলেন গানের ওপারে।
থেকে গেল প্রেম। সেই প্রেমকে স্বীকৃতি দিতেই রনে-র অন্ত্যেষ্টির স্থানটি সেলিন নির্ধারণ করলেন তাদের যৌথ রূপকথার বীজভূমিতেই। ২১ বছর আগে মন্ট্রিল-এর নোৎরদাম ব্যাসিলিকায় পরিণয়-সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। সেই গির্জাতেই সমাহিত হবেন তার রনের, সেলিন জানিয়েছেন। ‘লাভ ক্যান টাচ আস ওয়ান টাইম/ অ্যান্ড লাস্ট ফর লাইফটাইম’— অব্যক্তভাবে বাজবে সেই সমাধিতে। আর কেউ না-জানুক, সেলিন জানেন। আর জানে প্রেম। শ্বাশ্বত, অমলিন প্রেম।
১৬ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই