বিনোদন ডেস্ক : ‘ইশক ভিশক’-এর চকোলেট বয় থেকে ‘কবীর সিং’য়ের হ্যান্ডসাম হাল্ক, বলিউডে শাহিদ কাপুরের জার্নিটা মোটেও গোলাপ বিছানো ছিল না। বরং কাঁটাই ছিল বেশি। র'ক্তা'ক্ত হয়েছেন, আবার ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন। শাহরুখ খানের মিরর ইমেজ থেকে গড়ে তুলেছেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচয়।
আপাতত গৌতম তিন্নানুরির ‘জার্সি’র মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুণছেন শাহিদ-অনুরাগীরা। একজন প্রতিভাবান কিন্তু অসফল ক্রিকেটারের গল্প পর্দায় তুলে ধরছেন অভিনেতা।
ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে সিনেমার ট্রেলার। সেখানে শাহিদের পাথরকোঁদা শরীর দেখে মুগ্ধ তামাম ভক্তকুল। আসলে ডায়েটে বাঁধা খাওয়াদাওয়া থেকে প্রতিদিনের ওয়ার্ক আউট, রুটিনে ছেদ পড়ে না শাহিদের। জানুন, ভি শেপের বডি ধরে রাখতে কী করেন অভিনেতা।
কার্ডিও ট্রেনিং: কার্ডিও এক্সারসাইজ শুধু ওজন কমায় তাই নয়, কার্ডিওভাস্কুলারের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। ট্রেড মিলে দৌড়নো থেকে সাইক্লিং, জগিং, সাঁতার– শাহিদ বাদ দেন না কিছুই।
বডিওয়েট এক্সারসাইজ: প্রতিদিনে জিমে সময় কাটানো শাহিদের পুরনো অভ্যাস। প্রথম ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট চলে বডিওয়েট এক্সারসাইজ। নিয়ম করে দেন পুশ-আপ, প্ল্যাঙ্কস, ক্রাঞ্চেস থেকে মাউন্টেন ক্লাইম্বার, রাশিয়ান টুইস্ট, বাইসাইকেল ক্রাঞ্চেস। পেশির শক্তি বাড়তে এর জুড়ি নেই।
ওজন তোলা: জিমে বডিওয়েট এক্সারসাইজের পর্ব মিটলে শাহিদ শুরু করেন ওজন চাগানো। অভিনেতার পেশিবহুল শরীরের গোপন রহস্য এটাই। এতে শুধু ক্যালোরি পোড়ে তাই নয়, পেশিকেও মজবুত করে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং সহজে আঘা'ত লাগার ঝুঁকি কমায়।
নৃত্যশৈলী: শাহিদ শুধু ভালো অভিনেতাই নন, দক্ষ নৃত্যশিল্পীও। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও অনুরাগীদের মজিয়ে রাখেন শহীদ। এজন্য প্রতিদিন অভ্যাসও করেন। আর কে না জানে নাচ শরীরের ফিটনেস বাড়ায়।
নিরামিষাশী: এটা হয় তো অনেকেই জানেন না, শাহিদ পুরোদস্তুর নিরামিষাশী। মাছ-মাংস ছুঁয়েও দেখেন না। এক ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, তিনি পেটপুরে রাজমা চাওল খান। রাজমার মধ্যে রয়েছে হাই প্রোটিন। চাওল বা ভাতে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট। শরীর সুস্থ রাখতে এই দুই উপাদান ভীষণ জরুরি।
শাহিদ যা খান: মূলত শাক-সবজিই তাঁর ডায়েটে থাকে। সবুজ আনাজ, বিনস, দুধ এবং পনির শাহিদের মেনুতে থাকবেই। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ফল। ডায়েটে থাকে দুগ্ধজাত পণ্য বীজ শস্য। এই খাবার থেকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন আহরণ করে নেন অভিনেতা।
শাহিদ যা খান না: চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পারতপক্ষে এড়িয়ে চলেন। মিষ্টি মুখে তোলেন না। কঠোর ভাবে ডায়েট মেনে চলেন। ঘড়ির কাঁটা ধরে খান। তবে অল্প অল্প করে দিনে পাঁচ থেকে ছ’বার খাওয়ার অভ্যাস তাঁর। সূত্র: নিউজ এইট্টিন