বিনোদন ডেস্ক : ভারতের সবচেয়ে ধনী কৌতুক অভিনেতা তিনি। এক জীবনে এত সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যা অন্যদের কাছে অবিশ্বাস্য স্বপ্নের মতো। তার নাম ব্রহ্মানন্দম। ভারতের তেলেগু সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় একজন অভিনেতা।
ব্রহ্মানন্দম এ পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এজন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নামও অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। পৃথিবীতে জীবিত অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিনেমায় অভিনয়ের খেতাবটি তার।
তেলেগু সিনেমা চালু করলেই যেন ব্রহ্মানন্দমের মুখ দেখা যায়। অধিকাংশ সিনেমায়ই তিনি থাকেন। নায়ক-নায়িকার পর তাকে ঘিরেই দর্শকের আগ্রহ থাকে বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনিই থাকেন প্রধান আকর্ষণ।
তিনি চলচ্চিত্রের সর্বকালের সবচেয়ে মূল্যবান অভিনেতাদের একজন। চলচ্চিত্রে ছোট ভূমিকা থাকলেও এক একটি ছবিতে 2 থেকে 3 কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। এ ছাড়া অনেক টিভি বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি 1 থেকে দেড় কোটি টাকা নেন। তার বার্ষিক আয় সম্পর্কে কথা বললে, তাদের বার্ষিক আয় 28 কোটি টাকার বেশি।
দক্ষিণী সিনেমার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাদের একজন ব্রহ্মানন্দম। তার সম্পদের পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠতে পারে অনেকের। একাধিক সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মানন্দমের সম্পদের পরিমাণ ৩৪০ কোটি রুপিরও বেশি।
তিনি যে বাড়িতে থাকেন তা খুবই বিলাসবহুল। হায়দ্রাবাদের জুবিলিতে তার একটি বাড়ি রয়েছে, যা অত্যন্ত বিলাসবহুল। এই বিলাসবহুল বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন ব্রহ্মানন্দম। এই বাড়ির দামের কথা বলতে গেলে, এই বাড়ির দাম 5 কোটি টাকা। এছাড়াও রুইয়া পার্ক, জুহু এবং মাড দ্বীপে তার আরও দুটি বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি অনেক রিয়েল এস্টেটের মালিক।
সম্পদের নিরিখে তিনি বলিউডের অনেক তারকার চেয়েও এগিয়ে। অজয় দেবগন কিংবা কমেডি কিং হিসেবে খ্যাত কপিল শর্মার চেয়েও ব্রহ্মানন্দমের সম্পদ বেশি।
ব্রহ্মানন্দম সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ছয়টি নন্দি অ্যাওয়ার্ড, একটি ফিল্মফেয়ার সাউথ, ছয়টি সিমা অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ২০০৯ সালে তাকে ভারত সরকার পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে।