বিনোদন ডেস্ক : দেবের জীবনে ঘটল এক স্মরণীয় ঘটনা! Dev এবং Rukmini Maitra অভিনীত ছবি কিশমিশ ধুমধামের সঙ্গে মুক্তি পেল শুক্রবার ২৯ এপ্রিল। দেব-ভক্তরা তাঁকে যেমন শুভেচ্ছায় ভাসালেন, তেমনই এক বিশেষ ব্যক্তির প্রশংসা পেয়ে জীবনকে স্বার্থক মনে করলেন সুপারস্টার দেব।
সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, স্বয়ং দেবের বাবা। বাবার নিজের হাতে লেখা নোট হয়ে উঠল দেবের কাছে কিশমিশ ছবির সেরা রিভিউ।
বাংলার সুপারস্টার দেব ও রুক্মিণী মৈত্রর বহু চর্চিত ছবি মুক্তি পেল শুক্রবার ২৯ এপ্রিল। আর সেই ছবির সেরা রিভিউ দেব পেলেন বাবার থেকে।
প্রাণ ভরিয়ে দেওয়া সেই অভিজ্ঞতার কথা দেব নিজেই শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর মনের কথা হুবহু তুলে দিলাম আপনাদের জন্য।
যা লিখলেন দেব... “আজ পর্যন্ত আমার ৩৯ বছরের এই জীবনে আমার বাবা আমাকে একটি চিঠিও লেখেনি, প্রতিটা সিনেমার মতো আজকেও আমার বাবা এবং আমার পরিবার এসেছিলো Kishmish সিনেমাটি দেখতে, সিনেমা শেষ হওয়ার পর ব্যস্ততার কারণে বাবার কাছে জানতে পারিনি কেমন লেগেছে সিনেমাটা, সব শেষে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন দেখলাম দরজার বাইরে বাবা লিখেছে "Kishmish Super duper Hetes”
আজকে যেন মনে হলো বাবাকে জীবনে প্রথমবার গর্ববোধ করাতে পারলাম, #Kishmish আপনাদের কতটা ভাল লাগবে তা আমার জানা নেই, কিন্তু আজকের দিনের এই অনুভূতিটা আমার কাছে কিশমিশের মত মিষ্টি হয়ে থাকবে সারা জীবন। সিনেমার ভাষায় আজ যেনো অস্কার পেলাম।”
এই মন ছুঁয়ে যাওয়া বার্তার সঙ্গে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন Dev। শনিবার সক্কাল সক্কাল করা দেবের এই পোস্ট ঘিরে এখন হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতোমধ্যে লাইকের সংখ্যা ৮ হাজার ছুঁইছুঁই। ১০০-র উপর শেয়ার এবং কমেন্ট করেছেন ৩০৫ জন!
দেব ভক্তরা তাঁকে ভরিয়ে দিলেন শুভেচ্ছা বার্তা। কেউ কেউ লিখলেন, “এভাবেই এগিয়ে যাও। আর বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে এভাবেই মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ দিতে থাকো।”
কেউ আবার লিখলেন, “ইউ আর আ লাভলি সন অফ আ প্রাউড ড্যাড।” আরও এক ভক্ত লিখলেন, “ভাল কাজ করলে, ভাল ফল তো তুমি পাবেই Dev দা ❤ Lots of love to you dada”।
দুই আলাদা প্রজন্মের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘কিশমিশ’-এ। দেব-রুক্মিণীও সামনে এসেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন দুই রূপে। কলেজ পড়ুয়ার চরিত্রের জন্য অনেকটা ওজন ঝরিয়ে ফেলেন দেব।
এলোমেলো চুল, চোখে চশমায় তাক লাগান অনুরাগীদের। রুক্মিণীর কথায়, “দেবকে টিনটিন হিসেবে দেখে সবাই চমকে গিয়েছিল। কিন্তু আমার কলেজ পড়ুয়া চরিত্র অর্থাৎ রোহিনির লুকে বিশেষ কিছু আলাদা ছিল না। সবাই ভেবেছিল, এটাই তো আমি! কিন্তু ট্রাম্প কার্ড হিসেবে তুলে রাখা ছিল আমার এই আটের দশকের লুক।”