বিনোদন ডেস্ক : জীবনে সুখী হতে কে না চায়! সুখের আশায় ছুটেন সকলে। তবে সুখের নীড় তৈরি করতে পারেন কয় জনে? সুখী দাম্পত্য কী সোনার হরিণ?
কিন্তু চাইলেই তো আর পাওয়া যায় না। এক ছাদের নিচে থাকতে গেলে কিছু ঠোকা ঠুকি তো লাগবেই। কিন্তু তা বলে একসঙ্গে থাকব না বললে কী ভাবে? পাওয়ার কাপলদের মধ্যে অন্যতম অজয়-কজল।
তাঁদের সম্পর্কের চাবি-কাঠি কী? আপনিও কী ভাবে সুখী দাম্পত্যের সংজ্ঞা পাবেন। কাজলের সঙ্গে সুখী দাম্পত্যের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন অজয়!
নব্বইয়ের দশক থেকে বলিউডের অজয় দেবগণের মধ্যেই জীবনসঙ্গী হওয়ার গুণ পেয়েছিলেন তনুজা-কন্যা। ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার কাপলদের মধ্যে অন্যতম এই জুটি। ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন অজয় দেবগণ ও কাজল। বলিটাউন, যেখানে প্রায় প্রতিদিন সম্পর্কে ভাঙন ধরে, সেখানে হাসতে হাসতে এতগুলো বছর পার করছেন এই দম্পত্তি।
বলিটাউন, যেখানে প্রায় প্রতিদিন সম্পর্ক গড়ে আবার ভাঙে, সেখানে থেকেই হাসতে হাসতে এতগুলো বছর পার করলেন কাজল-অজয়।
একটি সাক্ষাৎকারে অজয় বলেন, তাঁদের সুখি দাম্পত্যের চাবিকাঠি, বিয়ে টিকিয়ে রাখতে হল প্রেমই যথেষ্ট নয়। দুজনেই দু'জনের মতো থেকেছেন। দেখে নিন তাঁদের সম্পর্কের রহস্য কী কী:
ভুলের জন্য ক্ষমা চান: ভুল করা মানে ছোট হয়ে যাওয়া নয়, আপনি যদি আপনার ভুলের জন্য ক্ষমা চান তবে আপনার সঙ্গীর অনেকটা কাছেই পৌঁছতে পারবেন। আপনি যা বলেছেন বা করেছেন তার দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
একে অপরের বিশ্বাস: একটা বিয়েতে দুটো মানুষের মতামত সব সময় একই নাও থাকতে পারে। কখনও কখনও, তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্যের তৈরি হতে পারে, তবে এই জাতীয় সমস্যাগুলি সমাধানের উত্তর হল একে অপরের মতামতকে সম্মান করা।
সর্বদা আমি নয়: সম্পর্কে কখনই আমি আমি করবেন না। মাথায় রাখুন সর্বদা 'WE'। বিয়ে আসলে টিমওয়ার্কের মতো, দম্পতিরা যত তাড়াতাড়ি এটি উপলব্ধি করবে, তাদের বিবাহ তত ভাল হবে।
ইগো নয়: এটি একটি সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক। এটি যে কোনও বিয়েকে ধ্বংস করতে পারে সহজেই। আপনি বা আপনার সঙ্গীর মধ্যে অহঙ্কার আসতে দেওয়া মানে আপনার সম্পর্কের জন্য ঝুঁকি তৈরি করা।
আপনি যদি একবার অহংকারের বাইরে তাকান, স্পষ্টভাবে আপনার সঙ্গীর ভালোবাসা, উদ্বেগ এবং আপনার প্রতি যত্ন লক্ষ্য করতে সক্ষম হবেন।
কৃতজ্ঞতা: সঙ্গীকে কৃতজ্ঞতা জানান, একটি সাধারণ 'Sorry' বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই। আপনার জীবনে আপনার সঙ্গীর উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা থাকা উচিত। যা আপনাকে আপনার বিবাহে সান্ত্বনা, ভালোবাসা এবং সাহচর্য দেয়।-এইসময়