শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২, ০৯:২৭:৫৪

যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন ঐশ্বর্য-অভিষেক

যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন ঐশ্বর্য-অভিষেক

বিনোদন ডেস্ক: ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন বর্তমান বলিউডে এক সুখী দম্পতি ধরা হয়। বেশ ভালমতো চলছে তাদের সংসার। এদিকে একসময় এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে, ঐশ্বর্য ও অভিষেকের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে। সেই গুজবের প্রভাব কি তাঁদের সম্পর্কেও পড়েছিল? সত্য়িই কি ডিভোর্স হতে চলেছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের? 

এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তরই ছিল ধোঁয়াশার মধ্য়ে। ঐশ্বর্য ও অভিষেকের সম্পর্ক নিয়ে জানার কৌতূহল ছিল সকলের মধ্যে। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন অভিষেক বচ্চনই...

তারকাদের জীবন যেমন বৈচিত্র্যময়, একইভাবে তাঁদের জীবনে ওঠা-পড়া, টানা-পোড়েনও বেশি। তাঁদের নিয়ে নানারকম আলোচনা, গসিপ হতেই থাকে। কখনও কখনও তার অত্য়ন্ত বেশি প্রভাব পড়ে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনেও।

বলিউডেরও এমন অনেক তারকা আছেন, যাঁদের জীবন শুধুই গুজবের জন্য় নষ্ট হয়ে যায়নি, বরং যখন সত্যি কথা জানতে পেরেছিলেন, তখন আর ঠিক করার মতো কোনও পরিস্থিতিই ছিল না। ঐশ্বর্য রাই এবং অভিষেক বচ্চনও একবার এরকম এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। 

ঘটনাটা ২০১৬ সালের। তখন ঐশ্বর্যতাঁর ব্লকবাস্টার ছবি 'সর্বজিত'-এর প্রচারে স্বামী অভিষেকের সঙ্গে পৌঁছান। সেই সময় সাংবাদিকরা তাঁদের পোজ দেওয়ার জন্য় অনুরোধ করেন। 

সেই সময় অভিষের বচ্চন রেগে গিয়ে বলেন, শুধু ওঁর ছবি তোলো। এই কথা শোনার পর থেকেই নানারকম জল্পনা শুরু হয়। তাঁদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে।

এই ঘটনার পরপরই গুজব ছড়ায় যে, অভিষেক ও ঐশ্বর্যর বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে। এরকম বিষয় বাড়তে দেখে অভিষেক ট্যুইটারে ট্যুইট করেন। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “ঠিক আছে আমি ডিভোর্স দিচ্ছি। আমায় জানানোর জন্য় ধন্য়বাদ। কিন্তু আমায় কি এই কথা জানাবেন যে, আমি আবার কবে বিয়ে করব?”

শুধু তাই নয়, এরপর অভিষেক একটি সাক্ষাৎকারেও এই প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন যে, তিনি জানেন কোন কথার সত্য়তা কী। তিনি এই কথাও বলেন, “সাংবাদিকদের কোন কথা সিরিয়াস ভাবে নেওয়া উচিত। 

কোনও তৃতীয় ব্যক্তির আমার ও ঐশ্বর্যর সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার কোনও অধিকার নেই। ঐশ্বর্য জানেন আমি তাঁকে কতটা ভালোবাসি। আমিও জানি ঐশ্বর্য আমায় কতটা ভালোবাসেন।” এ তো গেল ঐশ্বর্য ও অভিষেকের কথা, কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, শুধুমাত্র গুজবের জন্য় কতজনের ভালো সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে?

অনেক দম্পতি বা যুগল আছেন যাঁরা নিজেদের ঝগড়ার মধ্য়ে সব সময় তৃতীয় ব্য়ক্তিকে টেনে আনেন। তাঁকে ঝগড়ার বিষয়ে জানান। কিন্তু একজন তৃতীয় ব্য়ক্তি কখনওই তাঁদের সম্পর্ক ঠিক করতে পারেন না। ঝগড়ার সমাধান করতে পারেন না।

বরং, তৃতীয় ব্য়ক্তির হস্তক্ষেপে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। কোনও কারণে যদি আপনাদের সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেয়, তবে চেষ্টা করুন নিজেদের মধ্য়ে কথা বলে ও আলোচনা করে সেই সমস্যা সমাধান করার।

দুজন দুজনকে পছন্দ করার কারণেই সম্পর্ক শুরু করেছিলেন। একে অপরের সঙ্গে অনেক ভালো মুহূর্তও কাটিয়েছেন। কিন্তু ঝগড়ার সময় আপনি সঙ্গীকে অন্য় কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে আপনার সঙ্গী মনে আঘাত পায়। এছাড়াও আপনাদের মধ্য়ে থাকা অবশিষ্ট ভালোবাসাও শেষ হয়ে যেতে পারে।

ঐশ্বর্য ও অভিষেকের সম্পর্কের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল তার অন্যতম কারণ হিংসা। ঐশ্বর্য যখন 'সর্বজিৎ'-এর জন্য সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন যে অভিষেক তাঁর স্ত্রীর সাফল্যে খুশি নন। যদিও দুজনের মধ্যে তেমন দূরত্ব ছিল না।

ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের সম্পর্কের উদাহরণটি সেই সমস্ত লোকের জন্য উপযুক্ত,যাঁরা মনে মনে ভাবতে শুরু করেন যে, তাঁদের স্ত্রী বা স্বামী তাঁদের সাফল্যে খুশি নন।

অন্যান্য় দম্পতিকে নিয়ে গসিপ করা যে লোকে উপভোগ করে তা সবাই জানে। আপনি যদি অ্যাশ-অভিষেকের মতো সুখী দাম্পত্য জীবন চান, তবে এমন কথা এক কান দিয়ে শুনুন এবং অন্য কান দিয়ে তা বের করে দিন।

অবশ্যই মনে রাখবেন যে, আপনি যদি কোথাও থেকে আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে কিছু শুনতে পান তবে অভিষেকের মতো তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসুন। যাতে অন্যদের কাছে এটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আপনি কোনও গসিপকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অন্য কেউ আপনার সম্পর্ক খারাপ করতে পারবে না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে