বিনোদন ডেস্ক: মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। সেখান থেকে হোটেলে ফেরার পথে অসুস্থ হন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ তথা কেকে, এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানালেন কেকে'র ম্যানেজার রীতেশ ভাট।
কেকে'র মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন রীতেশ ভাটকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশকে বয়ান দেওয়ার পর গণমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন তিনি। শেষ সফরেও কেকে'র সঙ্গেই ছিলেন তিনি। শেষ মুহুর্তে কি ঘটেছিল? চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন কেকে'র ম্যানেজার।
সোশ্য়াল মিডিয়া ভাইরাল ভিডিও নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান দ্রুত শেষ করে কার্যত সেই দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় কেকে'কে। এরপর গাড়িতে উঠে শিল্পী ম্যানেজারকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার ঠাণ্ডা লাগছে, এসি বন্ধ কর’। হাতে-পায়ে টান ধরার কথাও বলেন কেকে।
হিতেশ ভাটের পরবর্তী কথাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নজরুল মঞ্চ থেকে প্রায় ২০ মিনিট দূরে অবস্থিত ধর্মতলার ওয়েবয় গ্র্যান্ড হোটেলে পৌঁছানোর পর কী হয়েছিল? রীতেশ ভাটের কথায়, ওয়েরয় গ্র্যান্ডের লবিতে ভক্তরা তাঁকে ধরে, ছবি তুলতে চায়। কেকে জবাবে বলেন, শরীরটা ভালো লাগছে না। তিনি আগামীকাল (আজ) ছবি তোলার প্রতিজ্ঞা করেন। এরপর হোটেল রুমে প্রবেশ করেন তাঁরা।
হোটলে রুমের সোফায় বসে বমি করেন শিল্পী, তারপর মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেই সময়ই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কেকে। রীতেশ জানান, শরীর ভারী হয়ে গিয়েছিল। তিনি পারছিলেন না তাকে তুলতে। দ্রুত হোটেলকর্মীদের সাহায্য চান।
তারা ছুটে এসে দ্রুত শিল্পীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর ইকবালপুরের সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, কেকে-র ঠোঁটে ও কপালে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সেটাও নিয়েও কথা হচ্ছে। যদিও সেই আঘাত গুরুতর নয়, বলেই নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা। মঙ্গলবার গায়কের মৃত্যুর পর একটি মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, কেকের কপালে এবং ঠোঁটে আঘাত লেগেছে।
যদিও বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কেকের মুখে কিছুটা কেটে যাওয়ার দাগ আছে। যা সম্ভবত কেকে পড়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে। তাঁর কপালে এবং ঠোঁটে চোট আছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেরকম কিছু হয়নি। রক্তপাতও হয়নি।'