সোমবার, ০৬ জুন, ২০২২, ০১:১৩:৪৪

সালমানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত মহারাষ্ট্র সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত

সালমানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত মহারাষ্ট্র সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত

বিনোদন ডেস্ক: বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও তার বাবা সেলিম খানকে রোববার প্রাণে মা'রার হু'মকি চিঠি পাঠানোর পর সালমান খানের নিরা'পত্তা নিয়ে চিন্তিত মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগ সালমান খান ও তার পরিবারের জন্য নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। 

সালমান খান ও তার বাবাকে হু'মকি চিঠি দেওয়ার জেরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে বের হন সালমান খানের বাবা সেলিম খান। রবিবারও তার অন্যথা হয়নি। নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে সকালে হাঁটাহাঁটির মাঝে একটি জায়গায় বসে বিশ্রাম নেন তিনি। 

ওই জায়গা থেকেই হুমকি চিঠিটি প্রথম পান সেলিম খানের নিরাপত্তা রক্ষী। চিঠিতে কারও নাম নেই। ওই চিঠিতে সালমান খান এবং তার বাবাকে খু'নের হু'মকি দেওয়া হয়। চিঠিতে লেখা হয়, '‌সিধু মুসেওয়ালার মতো পরিণতি হবে।'‌ বান্দ্রার ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এই হুমকি চিঠির পেছনে কে রয়েছে তা জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে পুলিশ।

সম্প্রতি পাঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর পর থেকেই মুম্বাই পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। দীর্ঘদিনই পাঞ্জাবি গায়কের হ'ত্যাকা'ণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্যাং'স্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় আছেন সালমান। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে সালমানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। 

সিধুর খুনের পর পরই মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল যে সালমান খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং তার অ্যাপার্টমেন্টের চারদিকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যাতে রাজস্থানের এই বিষ্ণোই গ্যাং কিছু করতে না পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং কেন সালমান খানকে মারতে চায়?‌ 

১৯৯৮ সালে সালমানের বিরুদ্ধে রাজস্থানের যোধপুরে শুটিংয়ে গিয়ে দু'‌টি কৃষ্ণসার হরিণ হ'ত্যার অভিযোগ রয়েছে। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য করা হয় কৃষ্ণসার হরিণকে। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের শত্রু সালমান খান। ২০১৮ সালে তারা প্রকাশ্যে জানিয়েছিল, ''যোধপুরে সালমান খানকে আমরা হ'ত্যা করব।''

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে