মঙ্গলবার, ০৭ জুন, ২০২২, ০৩:২৫:০৯

সব নিয়ে সরে যায় ভাগ্যশ্রী, আমার হাতে কিছুই ছিল না: সালমান

সব নিয়ে সরে যায় ভাগ্যশ্রী, আমার হাতে কিছুই ছিল না: সালমান

বিনোদন ডেস্ক: সালমান খান এখন সাফল্যের আলোয় ঘেরা। তবে জীবন কি তারও মসৃণ ছিল চিরকাল? আবুধাবির পুরস্কার মঞ্চে এ বছর সঞ্চালক ছিলেন ‘ভাইজান’। ঝলমলে সন্ধ্যায় ফিরে এসেছিল কেরিয়ারের শুরুর দিককার লড়াই-ঠাসা আঁধার দিনগুলোর স্মৃতি।

প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ মুক্তির পর কয়েক মাসের মধ্যেই সালমানের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার সময়। বলিউডে পা রেখেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সালমান-ভাগ্যশ্রী জুটি। সেখান থেকে ভাগ্যশ্রী হঠাৎ সরে যেতে একলা হয়ে পড়েন সালমান। 

তার কথায়, ‘‘সমস্ত কৃতিত্ব নিয়ে সরে গিয়েছিল ভাগ্যশ্রী। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর কাজ করবে না, বিয়ে করে সংসারী হবে।’’ তার পরে ৬ মাস সালমানের হাতে কোনও কাজ ছিল না। ত্রাতার ভূমিকায় তখন হাজির হয়েছিলেন প্রযোজক রমেশ তৌরানি। 

তার প্রতি আজও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সালমান। সেই দুর্দিনের কথা বলতে বলতে মঞ্চেই কাঁদলেন সালমানের। পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করে বলেন, সব নিয়ে সরে যায় ভাগ্যশ্রী, আমার হাতে কিছুই ছিল না।

তিনি বলেন ‘‘সে সময়ে আমার বাবা ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন প্রযোজক জিপি সিপ্পিকে। অনুরোধ করেছিলেন একটি ফিল্মি পত্রিকায় মিথ্যা ঘোষণা করতে যে, তিনি আমাকে একটি ছবিতে নিয়েছেন। জিপি তা করেছিলেন। কিন্তু কোনও ছবি হয়ইনি তখন।’’

সালমানের কথায়, এরপরই দেবদূতের মতো রমেশ তৌরানির আবির্ভাব। সিপ্পির অফিসে গিয়ে ছবির গানের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকার কল্যাণেই অবশেষে ‘পাত্থর কে ফুল’ (১৯৯১) নামে একটি ছবি হয়। তার জন্য আজও কৃতজ্ঞ ভাইজান।

তবে শুভাকাঙ্ক্ষী আরও ছিলেন। ভাইজান জানান, এক বার শপিং মলে একটি শার্ট আর একটি মানিব্যাগ খুব পছন্দ হয়েছিল। সে দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কেনার সামর্থ্য ছিল না। সালমানকে চমকে দিয়ে দুটোই উপহার হিসেবে তাকে পাঠান সুনীল শেট্টি। বনি কপূরকেও ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি সালমান। জানান, প্রভু দেবা তার কেরিয়ার বাঁচিয়ে দিয়েছিল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে