রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২, ০৯:১৩:৩১

বন্যার্তদের জন্য ১৬ লাখ টাকা কীভাবে ম্যানেজ করেছেন? যা বললেন তাশরীফ

বন্যার্তদের জন্য ১৬ লাখ টাকা কীভাবে ম্যানেজ করেছেন? যা বললেন তাশরীফ

বিনোদন ডেস্ক: পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় সিলেট ও মৌলভীবাজারের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি।ইতোমধ্যেই উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে সেখানকার মানুষজন। ক্রমশ অবনতি ঘটছে পরিস্থিতির। এরইমধ্যে বাংলাদেশের নামকরা সেলিব্রিটিরা এগিয়ে আসছেন যে যার মতো করে। এ অবস্থায় বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘কুঁড়েঘর’ ব্যান্ডের জনপ্রিয় তরুণ সংগীতশিল্পী তাশরীফ খান। 

সেখানে থাকবেন তিনি আরও বেশ কিছুদিন। ইতোমধ্যেই সবারই জানা হয়ে গিয়েছে যে, তিনি ১৬ লাখ টাকা নিয়ে সেখান উপস্থিত হয়েছেন। সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন তার টিমের সবাই এই পরিস্থিতিতে সেখানখান মানুষের পাশে থাকতে। কিন্তু হঠাৎ করে এত টাকা তিনি কীভাবে ম্যানেজ করেছেন? এমন প্রশ্ন ওঠে সবার মনে।

তাই বিষয়টি তিনি নিজেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন তার স্ট্যাটাসে। তিনি নিজেই সিঙ্গাপুর থেকে কনসার্ট শেষে দেশে এসে নিজেই ম্যানেজ করেন ১ লাখ টাকা। এরপর তিনি নিজের সার্কেলের মধ্য থেকেও অর্থ জোগাড় করতে থাকেন। তারপর ‘সিলেটের পাশে আছি’ নামক একটি ইভেন্ট খোলেন। 

সেখান থেকেই দুই দিনে বাকি অর্থ আসা শুরু করে। তার আহ্বানে ১৬ লাখ টাকা চলে আসে। এরপরই তিনি সিলেটে চলে যান। সেখানে গিয়েও বিভিন্ন মানুষের কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানান। এরপর সিলেটের অনেকেই তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। কেউ অর্থ দিয়ে আবার কেউবা সেচ্ছাশ্রম দিয়ে।

তাশরীফের ফেসবুক থেকে জানা যায় ১৬ জুন তিনি লেখেন, ‘সিলেট এসেছি। আমি কথা দিয়েছিলাম দেশে ফিরেই সিলেট আসব বন্যার্ত মানুষের জন্যে কাজ করতে। শুনেছি হাকালুকি হাওরের মানুষ দ্বিতীয় বারের মত বন্যার কবলে পরেছে। 

এখন যাচ্ছি হাকালুকি হাওরের উদ্দেশ্যে। নিজে সবকিছু দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব কী রকমের প্রজেক্ট করব। আমার কনসার্টের পুরো টাকা মিলেও এমাউন্ট হয়তো খুব একটা বড় হবে না তবে বিশ্বাস আছে যদি প্রয়োজন হয় তবে আপনাদের পাশে পাব। 

যাচ্ছি আমি, নিজে দেখব এবং আপনাদের সাথেও শেয়ার করব। ৫-৭ দিনের প্রজেক্ট করতে পারি। সিলেটবাসীদের পাশে পাব বলে আশা করছি। কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে চাইলে কমেন্ট করে রাখুন, প্রয়োজনে আমি নক করব।

এরপর ১৭ জুন তিনি আপডেট স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, ‘দুই দিনে ১৬ লাখ টাকা অনুদান এসেছে। আমাদের সব নাম্বারের লিমিট শেষ। এখন কেউ টাকা পাঠাবেন না। আমরা এইটা ডিস্ট্রিবিউট করার পর প্রয়োজন হলে আবার জানাব। 

দূর থেকে বন্যা হয়েছে শোনা আর এখানকার বাস্তবতা আকাশ আর পাতাল পার্থক্য। আল্লাহ তুমি সহায় হও। সিলেটের খাদিম নগরের আলি নগর গ্রামে আছি। প্রায় ২০০ পরিবারের বিছানা পর্যন্ত পানির নিচে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ১ লাখ টাকার সহায়তা করতে পারব বাকিটা নির্ভর করবে আপনাদের ওপর। 

আশেপাশে গ্রামগুলোতে কয়েক হাজারের বেশি পরিবার সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। আমি এখানে সাত দিন থাকব। আপনারা সহায়তা পাঠালে আমি আমার টিম নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় যা যা দরকার হবে তা সাধ্যমতো পৌঁছে দেব। অপেক্ষায় থাকলাম আপনাদের।

প্রসঙ্গত, সংগীতশিল্পী তাশরীফ খান কয়েক বছর আগে একক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেন ‘কুঁড়েঘর’ ব্যান্ড। শুরুর দিকে বড় ভাইয়ের লিরিকে সুর দিতেন তাশরীফ। দিন দিন বাড়তে থাকে তার টিমের সদস্য। আজ দেশের জনপ্রিয় একটি ব্যান্ডে পরিণত হয়েছে ‘কুঁড়েঘর’। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে