বিনোদন ডেস্ক: সুন্দরী কিন্তু মোটা বলে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বহু বার। নায়িকার বয়সও জানতে চেয়েছেন কেউ কেউ। মুখের ওপর জবাবও দিয়েছেন। সেই সাহসী অভিনেত্রীই ইন্ডাস্ট্রিতে পা দিতেই 'অপয়া’ বদনামে ভেঙে পড়েছিলেন।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি টক শোয়ে এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন ‘সুলু’। জীবনের এই ‘ডার্টি পিকচার’ কেড়ে নিয়েছিল বিদ্যা বালানের রাতের ঘুম। বলিউডে বিদ্যার রূপের প্রশংসা বরাবরই ছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতেই ছবির কাজও আসতে থাকে।
নতুন মুখ, তায় আবার, চোখধাঁধানো সুন্দরী। একসঙ্গে ১২ টা ছবিতে কাজের কথাও পাকা হয়ে যায়। প্রথম ছবির শ্যুটিংয়েই বিদ্যার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখনও ফেলে আসা সেই দিনগুলো তাড়া করে বেড়ায় বিদ্যাকে। ‘চক্রম’ ছবির শ্যুটিং চলছিল কেরালায়। ছবির নায়িকা ছিলেন বিদ্যা।
বেশ কয়েক দিন শ্যুটিং হওয়ার পর প্রযোজক-পরিচালকের মতবিরোধে বন্ধ হয়ে যায় শ্যুটিং। মনখারাপ নিয়ে বাড়ি ফেরেন বিদ্যা। তখনও জানতেন না এর থেকেও খারাপ খবর অপেক্ষা করছে তার জন্য। পুরনো ইউনিট নিয়ে প্রযোজক-পরিচালক এর আগে অনেক কাজই করেছেন। ইতিমধ্যে ওই জুটির বেশ কয়েকটি ছবি জনপ্রিয়ও হয়েছিল। একমাত্র বিদ্যাই ছিলেন ইউনিটের নতুন সদস্য।
রটে যায়, ‘অপয়া বিদ্যা বালান’। তার জন্যই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ছবির কাজ। আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই রটনা। মুহূর্তেই বিদ্যার হাত থেকে চলে যায় ১২ টা ছবির কাজ। দিনের পর দিন সাঁইবাবার মন্দিরে চোখের জল ফেলেছেন বিদ্যা। অপয়া বদনাম ঘোচানোর জন্য প্রার্থনা করেছেন। শেষ পর্যন্ত ‘ললিতা’ই ফিরিয়ে দিয়েছিল বিদ্যার পায়ের তলার মাটি। প্রদীপ সরকারের ‘পরিণীতা’ মুছে দিয়েছিল বিদ্যার ‘অপয়া’ বদনাম। সূত্র: আনন্দবাজার