বিনোদন ডেস্ক: সোমবার ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করেন জগদীপ ধনকড়। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট মনোনীত উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী পশ্চিমবঙ্গের সদ্য সাবেক রাজ্যপাল।
ধনকড় শুধু কৃষকপুত্রই নন, বলিউডের সুলতান সালমান খানের সঙ্গেও এক সময় পরিচয় ছিল। ধনকড়ের সাহায্যেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ভাইজান। যে যাত্রায় সালমান খানকে বাঁচিয়ে দেন জগদীপ ধনকড় এমনই খবর শোনা যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সালমানের সঙ্গে ধনকড়ের একটি পুরনো ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে। রাজস্থানের কৃষক পরিবারের সন্তান জগদীপ ধনকড় অভিজ্ঞ আইনজীবী। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদও বটে। ১৯৯০ সালে সংসদীয় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের কিষাণগড়ের বিধায়ক ছিলেন। এমনকী, জয়পুরের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। কিন্তু সালমান খানের সঙ্গে ধনকড়ের পরিচয়ের সূত্র কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে ১৯৯৮ সালের খবরে ফিরে যেতে হয়।
যখন যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণকে হ'ত্যা করার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। এর জন্য বেশ কিছুদিন হাজতেও থাকতে হয় সুপারস্টারকে। শোনা যায়, সেই সময় আইনজীবী দেবানন্দ গেহলত অভিজ্ঞ আইনজীবী হিসাবে জগদীপ ধনকড়কে সালমানের মামলায় নিযুক্ত করেছিলেন।
আর তাদের সাহায্যেই সালমান জামিন পেয়েছিলেন। জামিনের পরই ছবিটি তোলা হয়েছিল। এখনও কৃষ্ণসার হরিণ হ'ত্যা মামলা চলছে। কিন্তু এজলাস এখন জগদীপ ধনকড়ের কাছে অতীত। ২০১৯ সালে তাকে পশ্চিমবাংলার রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য – প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি। কখনও টুইট আবার কখনও চিঠি পাঠিয়ে। দুইপক্ষের অসন্তোষের জেরে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ক্ষমতাও খর্ব করেছে রাজ্য সরকার।
তবে সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। মমতা নিমন্ত্রণ রক্ষা করেন। দার্জিলিংয়ে দুই জনের দেখা সাক্ষাৎ এমনকী কথাও হয়। এরপরই প্রায় গোপনে দিল্লি সফরে যান ধনকড়। পরপর দুইদিন শাহ এবং মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ সারেন তিনি। তারপরই এনডিএর উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে জগদীপ ধনকড়ের নাম ঘোষণা হয়।