শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২, ০৪:০৫:৪৭

কিভাবে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম ও বিয়ে? পুরো কাহিনী জানালেন পূর্ণিমা

কিভাবে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম ও বিয়ে? পুরো কাহিনী জানালেন পূর্ণিমা

বিনোদন ডেস্ক: জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমার বিয়ের খবর এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। প্রায় দুই মাস (২৭ মে) আগে তিনি বিয়ে করেন আশফাকুর রহমান রবিন নামের তরুণকে। তবে সে খবর প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে। 

এরপর থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন নায়িকা। কিভাবে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম ও বিয়ে? পুরো কাহিনী জানালেন পূর্ণিমা। শুক্রবার (২২) দুপুরে স্বামী রবিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব, প্রেম ও বিয়ের গল্প শোনান পূর্ণিমা। জানান, ২০১৮ সালে একটি ইভেন্টে অথবা নাটকের শুটিংয়ে আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে তার সঙ্গে প্রথম পরিচয়।

পূর্ণিমার ভাষ্যে, ‘তখন সে (রবিন) অন্য একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতো। সে কোম্পানির পক্ষ থেকে অনেক ইভেন্ট হতো। ইভেন্টে নিজের অধীনে থাকা ব্র্যান্ডগুলো দেখতো।’

নায়িকা বলেন, ‘সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তাদের কাজ। আমিও টানা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করি। ওখান থেকে আমাদের কথাবার্তা শুরু হয়।’

কথা বলতে বলতে আমাদের মধ্যে ভালো একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয় জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘ছেলেটা আসলেই খুবই ভালো। ভালো মানুষ একজন। যার কাছে সবকিছু বলা যায়। যাকে সবক্ষেত্রে বিশ্বাস করা যায়। আমরা কাজের ক্ষেত্রে কাজই করেছি। আবার বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সেটা সেভাবে বজায় রেখেছি।’

নায়িকার কথায়, ‘তাদের (রবিনদের) পরিবারটা খুবই কনজারভেটিভ। আমিও সব জায়গায় গিয়ে ঘুরে বেড়ানো, রেস্টুরেন্টে খাওয়া এরকম টাইপের পাবলিক না। ভালো লাগা, বোঝাপড়া থেকে মনে হয়েছে ঠিক আছে।’

পূর্ণিমা বলেন, সেখান থেকে দুজনেরই যখন মনে হয় জীবনসঙ্গী হিসেবে, পার্টনার হিসেবে আমাদের এগোনো উচিত তখনই পরিবারকে জানাই। দুই পরিবার তাদের সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘একদিকে তাদের কনজারভেটিভ ফ্যামিলি। অন্যদিকে আমার একটা ব্র্যাকগ্রাউন্ড আছে। অনেক কিছু মিলিয়ে সবাই একসেপ্ট করবে কিনা; এগুলোর একটা বিষয় তো ছিলই কিন্তু তার পরিবার খুব সুন্দরভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছে।’

নায়িকা বলেন, “সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে হুট করেই। রোজার ঈদের পর। পরিবারকে যখনই জানানো হয়েছে ওনারা বলেছেন, ‘তাহলে আর দেরি করো না। এক দুই সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে ফেলো।’’ 

পূর্ণিমা বলেন, কোনো ধরনে কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। হুট করেই আমরা বিয়েটা করেছি। বিয়ের পর সবাই একটু অসুস্থ ছিলাম। প্রত্যেকেরই জ্বর, আমার আম্মা এখনো হাসপাতালে ভর্তি। ফলে বিয়ের পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ারও সুযোগ হয়নি।

সবশেষে পূর্ণিমা জানান, তার তেমন কোনো আত্মীয়স্বজনকে বিয়ের কথা বলা হয়নি। স্বামী রবিনের আত্মীয়স্বজনদের কেউ কেউও দেশের বাইরে থাকেন। তাদের নিয়ে হয়তো আগামী ডিসেম্বরে শীতের মধ্যে একটা অনুষ্ঠান হতে পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে