বিনোদন ডেস্ক : তিনি যে ঠিক কতটা জেদি তা আর নতুন করে বলে দিতে হবেনা। ফুটপাত থেকে শুরু করে গোটা বলিউডের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন তিনি। তবে সবকিছু এতোটাই সহজ ছিলোনা।
ছবিতে ঠিক যতটা সহজে সাফল্যের গল্প আঁকা হয় বাস্তব চিত্রটা একটু অন্যরকম। মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’র জন্য জাতীয় পুরস্কার জেতার পরও কম হ্যাটা করেনি টিনসেল টাউনের বাসিন্দারা।
ঠিকই ধরেছেন, আমরা কথা বলছি ডিস্কো ডান্সার খ্যাত মিঠুন চক্রবর্তীর সম্পর্কে। ইন্ডাস্ট্রির পলিটিক্স নেপোটিজম, স্টারকিডদের দাপট সবকিছুর মোকাবেলা করে বি টাউনে নিজের নাম খোদাই করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
৭২ বছর পরেও একইরকম সতেজ তিনি। তবে জানেন কী একটা সময় এমনও ছিলো যখন এইরকম লড়াকু অভিনেতাও ভেবেছিলেন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা।নিজের এই গোপন সত্যিটা জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই!
শুনতে অবাক লাগলেও এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে খোদ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর কাছ থেকেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই গোপন সত্যটা জানিয়েছেন তিনি। স্মৃতির পাতা থেকে তুলে এনেছেন নিজের জীবনের কালো দিনগুলিকে। কথাটি শোনার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জেগেছে যে হঠাৎ এই রকম চিন্তাভাবনা কেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা জানান, ”সকলকেই লড়াই করতে হয়। কিন্তু আমাকে একটু বেশিই করতে হয়েছিল। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, আমি বোধহয় আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না। নানা কারণে কলকাতাতেও ফিরতে পারছিলাম না।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল, আমি এমনকী আ'ত্মহ'ত্যার কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু আমার সকলের প্রতি উপদেশ, কখনও লড়াই বন্ধ করে জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা ভাববেন না। আমি জন্মগত ভাবে একজন লড়াকু মানুষ। আমি হারতে শিখিনি। দেখুন, আজ আমি কোথায় পৌঁছেছি।”
যুগের সাথে সাথে বদলে গেছে আমাদের অভ্যাসও। সে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন বিষাদের সুর শোনা গেল অভিনেতার গলায়। তিনি বলেন, “যত সময় যাচ্ছে ততই যেন মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে।
তাঁর কথায়, ”আগে আমরা একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করতাম। এখন সবাই যার যার ভ্যানিটি ভ্যানে ঢুকে পড়ে নিজের ফোনেই ব্যস্ত থাকে।”