শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২, ০৩:৪৬:৩১

প্রবল হইচইয়ে মধ্যে জামা ধরে টান, নাজেহাল অরিজিৎ সিং

প্রবল হইচইয়ে মধ্যে জামা ধরে টান, নাজেহাল অরিজিৎ সিং

বিনোদন ডেস্ক: সাদামাঠা গেঞ্জি, পায়ে হাওয়াই চটি আর বাহন বলতে ছাপোষা একটি স্কুটি– তা নিয়ে দিনভর পশ্চিমবঙ্গের জিয়াগঞ্জ চষে বেড়ালেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিং। না আলস্যে ভ্রমণ নয়, কাঁধে নিয়েছেন গুরুদায়িত্ব। পালন যে করতেই হবে। 

আর এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তিনি পড়লেন ফ্যাসাদে। স্বপ্নের গায়ককে এত কাছ থেকে দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না উত্তেজিত জনতা। চতুর্দিকে হর্ষধ্বনি, ভক্তদের চিৎকার, প্রবল হইচইয়ে মধ্যে কেউ কেউ আবার জামা ধরেও টান দিলেন গায়কের।

ঠিক কী ঘটেছে? নিজের জন্মস্থান জিয়াগঞ্জে একটি বিনামূল্যে ইংরেজি কোচিং খোলার ইচ্ছা অরিজিৎ সিংয়ের বহুদিনের। এবার সেই ইচ্ছাকেই রূপদান করতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের একটি নার্সিং কলেজের হোস্টেলে ক্লাসের জন্য ঘর দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। ঘর পছন্দও হয়ে গিয়েছে তার। 

স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সব ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই শুরু হবে সেই ইংরেজি ক্লাস। এ দিকে অরিজিৎ যখন কলেজ চত্বরে প্রবেশ করেন তখন তাকে দেখে ছুটে আসেন শিক্ষার্থীরা। কেউ বাড়িয়ে দেন মোবাইল। আবার কেউ বা অরিজিৎকে স্কুটারে উঠতে না দেওয়ার জন্য আঁকড়ে ধরেন জামা।

অরিজিতও হাসিমুখে আবদার মেটান ভক্তদের। সেলফিও তোলেন। আর এরপরেই কোনও মতে ফ্যানেদের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে আবারও সেই সাদামাঠা স্কুটিতে চেপে জায়গা ছাড়েন গায়ক।

বরাবরই শিকড়ের সঙ্গে নিজেকে জুড়ে রাখতে ভালবাসেন অরিজিৎ সিং। বিশ্বজুড়ে তার ভক্তসংখ্যা নেহাতই কম নয়। অথচ তিনি যেন মাটির মানুষ। জিয়াগঞ্জের রাস্তায় মাঝেমধ্যে স্কুটি চেপে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে। খ্যাতির মোহে তিনি আটকা পড়েননি কখনওই। 

চাইলেই ছেলেকে ভর্তি করতে পারতেন কোনও প্রথম সারির ঝাঁ চকচকে স্কুলে। তিনি তা করেননি। ভর্তি করেছেন জিয়াগঞ্জের এক স্কুলে। আর পাঁচ জন বাবা-মায়ের মতো সাধারণ পোশাকে ছেলেকে স্কুল থেকে আনতেও দেখা যায় তাকে। প্রচার তিনি চান না। তবু তিনি হাজির, আর ভিড় জমবে না তা কী করে হয়?

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে