বিনোদন ডেস্ক: প্রথম দক্ষিণী ছবিতে সাফল্য, বলিউডেও বড় বড় তারকার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ। কিন্তু শুরু থেকেই এত মসৃণ ছিল না তাঁর জীবন। পেরোতে হয়েছে অনেক চড়াই উতরাই। দক্ষিণে পা রেখেই সাফল্যের স্বাদ কৃণাল ঠাকুরের।
হনু রঘবাপুদি পরিচালিত তেলুগু ছবি 'সীতা রামম'-এ নায়িকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাকে। জুটি বেঁধেছিলেন মালয়ালী ছবির সুপারস্টার দুলকার সালমানের সঙ্গে। দেশ বিদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ছবি। বক্স অফিসেও ভাল লক্ষ্মীলাভ হয়েছে।
প্রথম দক্ষিণী ছবিতেই বাজিমাত বলি নায়িকার। মুম্বাইয়ের ছোটপর্দার অভিনেত্রী ধীরে ধীরে বড় পর্দায় পা রাখলেন। তার পর একে একে রাজ্যের বেড়াজাল পেরিয়ে দক্ষিণেও পৌঁছে গেলেন মৃণাল। কেরিয়ারের চিত্ররেখা এখন প্রায় শীর্ষে।
প্রথম দক্ষিণী ছবিতে সাফল্য, বলিউডেও বড় বড় তারকার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ। কিন্তু শুরু থেকেই এত মসৃণ ছিল না তার জীবন। পেরোতে হয়েছে অনেক চড়াই উতরাই। খুব ছোট থেকেই তাকে অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছিল।
ব্যর্থ হওয়ার ভয় ছিল তার মনে। অভিনয় করতে চেয়েছিলেন ছোটবেলাতেই কিন্তু ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এক সময়ে। মনে হচ্ছিল, তার জীবনে কিচ্ছুটি হবে না। যেখানে পৌঁছাতে চান, কোনও দিনও পৌঁছাতে পারবেন না।
নিজেকে শেষ করে ফেলার কথা ভেবেছেন একাধিক বার। বয়স তখন মাত্র ১৭ বা ১৮। সাক্ষাৎকারে নিজের আত্মহ'ত্যা প্রব'ণতার কথা বলতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
মৃণালের কথায়, ''আমি ভাবতাম, ভাল কাজ না করতে পারলে, জীবনে কিছুই করতে পারব না। ভেবেছিলাম, বয়স ২৩ হতেই আমাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। এর পর সন্তানের জন্ম দিতে হবে। ঠিক এগুলোই আমি করতে চাইনি।''
নানা জায়গায় অডিশন দিতে যেতেন তিনি। লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতেন। কত বার যে ভেবেছেন ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেবেন! কিন্তু এই ভুল থেকে নিজেকে এক দিন সরিয়ে আনলেন তিনি। লড়াই করলেন নিজের সঙ্গে। হৃতিক রোশন, ফারহান আখতার, শাহিদ কাপূর, দুলকার সালমান, আরও কত প্রথম সারির তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।