স্পোর্টস ডেস্ক: সৌরভ গাঙ্গুলীকে দেখে অনুপ্রাণিত হন এরকম মানুষের সংখ্যা হয়তো গুনেও শেষ করা যাবে না। কিন্তু তিনি কাকে দেখে অনুপ্রাণিত হন? তাকে সাহসই-বা কে জোগান? সৌরভ জানালেন এই মহানপুরুষ অন্য কেউ নন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
নেতাজির চরিত্রের কোন দিকটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে? কোন বিষয়টাকে নিজের খেলোয়াড় জীবনেও প্রয়োগ করেছেন? উত্তর দিতে এক সেকেন্ডও সময় নিলেন না সৌরভ বলেন, ''সাহস, সাহস আর সাহস।''
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার কলকাতা শহরে 'লিডারশিপ ইন মর্ডান ইন্ডিয়া' নামক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
সেখানে নেতাজি ও সৌরভকে নিয়ে উষা উত্থুপের গাওয়া দুটো গানেরও উদ্বোধন হল। আলোচনায় ছিলেন বেঙ্গল পিয়ারলেসের কর্তা কেতন সেনগুপ্ত সহ দুই নেতাজি গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষ ও অনুজ ধর। আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন সৌরভই। বারেবারেই চলে আসছিল লড়াই-চাপ-যুদ্ধ শব্দগুলো।
সৌরভ বলছিলেন, ''প্রকৃত নেতার মধ্যে দুটি সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। একটা পছন্দের, একটা অপছন্দের। দুটো সিদ্ধান্তই নিতে হবে দৃঢ়ভাবে। আমি যখন ক্যাপ্টেন্সি করেছি, আমাকে প্রচুর অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পরে ধোনিকেও নিতে হয়েছে। বিরাটকে নিতে হয়েছে। এখন রোহিতকে নিতে হচ্ছে। এটাই লিডারের কাজ।''
বিসিসিআই প্রধান বলেন, ''এর জন্য সবার আগে সাহসী হতে হবে। বাইরে থেকে প্রচুর কথা, সমালোচনা শুনবেন কিন্তু দিনের শেষে যখন বালিশে মাথা ঠেকিয়ে শুতে যাবেন, তখন মনে হবে, আপনার সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল।''
২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আজও আলোচনা হয়। নেতাজি এবং নেতৃত্ব বিষয়ক আলোচনায় সৌরভ সেই প্রসঙ্গও টেনে এনে বলেন, ''আমার তার জন্য কোনও আক্ষেপ নেই। কারণ, আমি মনে করেছিলাম সেই সময় সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।''
বারেবারেই উঠছিল চাপের কথা। সৌরভ বলে দিলেন, ''চাপ ব্যাপারটাকে উপভোগ করতে জানতে হবে। আমি যখন প্রথম দেশের হয়ে খেলি, প্রথম দেশের নেতৃত্ব পাই, প্রবল চাপ ছিল। কিন্তু দিন পনেরোর মধ্যে দেখলাম, সেটাই গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল। তখন চাপ নিয়ে চলতেই ভালো লাগত। চাপ না থাকলে নিজের জীবনেও সেরাটা দিতে পারবেন না। সে যে পর্যায়েই কাজ করুন না কেন।''