বিনোদন ডেস্ক: এ পুতুল কেমন কাঠের পুতুল? অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘কাঠপুতলি’ সিনেমা দেখার পর এই প্রশ্নই মনে আসে। রিমেকের ছাঁচে তৈরি সাসপেন্স থ্রিলার সিনেমাটি। তামিল সিনেমা ‘রতসাসান’-এর আদলে সাজানো চিত্রনাট্য। কিন্তু দাক্ষিণাত্যের স্মরণাপন্ন হয়ে এবার বিশেষ লাভ হল না বলিউডের খিলাড়ির।
ডিজনি প্লাস হটস্টার ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি কেবল রহস্যের ব্যর্থ আখ্যান হয়েই রয়ে গেল। ইদানিং অক্ষয় কুমারের ম্যাজিক যেন একটু ফিকে। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’, ‘রক্ষা বন্ধন’। ‘কাঠপুতলি’ সিনেমা হলে মুক্তি পেলে হয়তো একই হতো।
‘বেল বটম’ খ্যাত পরিচালক রঞ্জিৎ এম. তিওয়ারির পরিচালনায় এ ছবি অভিনয় করেছেন অক্ষয়। ছবিতে তার চরিত্রের নাম অর্জন। সিরিয়াল কি লার নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছে অর্জন। মনের বাসনা ছিল সিনেমা তৈরি করার। কিন্তু ভাগ্যে ফেরে পুলিশে যোগ দিতে হয়।
শুরুতেই এক জটিল কেসের মুখোমুখি হতে হয় অর্জনকে। একের পর এক কিশোরীর নৃ শং স খু ন। যার কিনারা করতে ম রিয়া সদ্য পুলিশে যোগ দেওয়া যুবক। কাহিনি শেষটা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দেখে নিতেই পারেন। তবে তার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। বলিউডের ফর্মুলা সিনেমার দোষেই দুষ্ট অক্ষয় কুমারের এ ছবি।
প্রথমত, সদ্য পুলিশে যোগ দেওয়া যুবকের চরিত্রে ৫২ বছরের অভিনেতাকে খুব একটা মানায়নি। তারপর উপরে থ্রিলারের সঙ্গে তাঁর অভিনয়ের মেজাজও মেলেনি। কাহিনি কখনও রহস্যের উপর নির্ভরশীল হতে চেয়েছে, কখনও অক্ষয় কুমার ও রকুলপ্রীত সিংয়েরঅনস্ক্রিন রসায়নের ভিতের উপর বলিউডি মেজাজ ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।
দুইক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। এক কথায় জমল না রহস্য, ফের ব্যর্থ হলেন অক্ষয় কুমার। চন্দ্রচূড় সিং, হৃষিতা ভাট, গুরপ্রীত গুগ্গু, শরগুন মেহতা এবং মালয়ালম অভিনেতা সুজিত শংকর শুধুমাত্র পরিচালকের হাতের কাঠের পুতুল হিসেবে রয়ে গিয়েছেন। গুরুত্ব যেন শুধু অক্ষয়ের চরিত্রকেই দেওয়া হয়েছে।