বিনোদন ডেস্ক: কথাতেই আছে লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। জ্যাকুলিনকে আগেই সতর্ক করেছিলেন সালমান ও অক্ষয়! সেটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ। কেরিয়ার বানাতে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে এসেছিলেন তিনি।
প্রথম ছবিই পরিচিতি দিয়েছিল জ্যাকুলিনকে। প্রচুর ছবির সুযোগ না পেলেও জনপ্রিয়তা কম নয় তার। বিশেষত সালমান খানের ঘনিষ্ঠ বলে আলাদা খ্যাতি আছে জ্যাকির। কিন্তু এখন পদে পদে হেনস্থা হতে হচ্ছে তাকে।
২০০ কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে যেদিন থেকে তার নাম জড়িয়েছে সেদিন থেকেই দুঃসময় শুরু হয়েছে জ্যাকুলিনের। সুকেশের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আরো অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। ইডির চার্জশিটেও প্রতারণা মামলায় জড়িত হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রীর।
এর মধ্যে আবার জানা গিয়েছে, সুকেশের প্রতারক পরিচয় পেয়েও সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলেন জ্যাকুলিন। শুধুমাত্র টাকা আর দামী উপহারের লোভেই নাকি সম্পর্কটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এমনকি সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন জ্যাকুলিন। এই সিদ্ধান্তের কথা অক্ষয় কুমার ও সালমান খানকে জানিয়েছিলেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, নিজেকে ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ বলে জ্যাকুলিনের কাছে পরিচয় দিয়েছিলেন সুকেশ। অক্ষয় এবং সালমান দুইজনেই নাকি জ্যাকুলিনকে সতর্ক করেছিলেন সুকেশের ব্যাপারে কিন্তু শুভাকাঙ্খীদের সতর্কবাণী অগ্রাহ্য করে দামী উপহারের লোভে যোগাযোগ বজায় রাখেন জ্যাকুলিন।
জ্যাকুলিনের ৭.২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। এর আগে জ্যাকুলিন দাবি করেছিলেন, তাকে জোর করে কিছু উপহার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই এটা উপেক্ষা করা যায় না যে তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের দ্বারা প্রতারিত হয়েছিলেন।