রবিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৩৩:৩২

বড় বিপাকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া!

বড় বিপাকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া!

বিনোদন ডেস্ক: সম্প্রতি ইরানে আন্দোলনে নেমে আসা ‘সাহসী নারীদের’ সমর্থন জানিয়ে ভারতে বড় বিপাকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, পড়েছেন সমালোচনার মুখে!

যেখানে অনেকে এই অভিনেত্রীর প্রশংসা করেছেন, সেখানে আরও অনেকে তাঁর সমালোচনায় ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘কেউ কি প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ভারতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে শুনেছেন?’

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ইরানি বিক্ষোভকারীদের জন্য একটি বার্তা পোস্ট করেছেন প্রিয়াঙ্কা। ইরানের ‘সাহসী নারীদের’ সমর্থন জানিয়ে এবং সবাইকে সেই আন্দোলনে আওয়াজ তোলার জন্য উৎসাহিত করে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের সাহস এবং আপনার উদ্দেশ্য দেখে বিস্মিত! জীবনের ঝুঁকি নেওয়া সহজ কাজ নয়।

আক্ষরিক অর্থে, পিতৃতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠাকে চ্যালেঞ্জ করা এবং নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করা ভয়াবহ কঠিন। কিন্তু আপনারা সাহসী নারীরা প্রতিদিন এটি করছেন জীবন বাজি রেখে। ’

ইরানি নারীদের প্রতি প্রিয়াঙ্কার এমন সমর্থনের পরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। দেশে হিজাব নিয়ে কথা না বলার জন্য অভিনেত্রীকে 'ভণ্ড' বলে অভিহিত করে একটি ট্রেন্ডিং টুইটে একজন লিখেছেন, ‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আপনি যখন হিজাবি মহিলাদের দুর্দশা থেকে দূরে সরে থাকেন, তখন বোঝা যায় আপনি কি! ভারতে যারা মাথায় এক টুকরো কাপড় পরার জন্য শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, হিন্দুত্ববাদী গুন্ডা ও রাষ্ট্র দ্বারা হয়রান হয়েছে, তখন আপনি কথা বলেন নি। আপনি একজন ভন্ড!’

অপর একজন লিখেছেন, ‘ইরানী মহিলাদের জন্য প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার উদ্বেগ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। কিন্তু বিলকিস বানো এবং রাষ্ট্রের প্রতি তাঁর নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ।  বিশেষ করে মুসলিমদের উপর, প্রান্তিক নারীদের উপর নিপীড়ন করছে তাঁর নিজ দেশ। সেই ভারত কি আত্মদর্শনের যোগ্য?’

এমন শত শত সমালোচনার মুখে অনলাইন সরগরম থাকলেও অভিনেত্রীর ভক্তরা অবশ্য তাঁর সমর্থনে পাশে দাড়িয়েছেন। একজন টুইট করে লিখেছেন, ‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সর্বদা ভারতে ঘটা অন্যায় ও সমস্যাগুলোর বিষয়ে অবস্থান নেয়। তাঁরও জীবন আছে, সংসার আছে। তাই সে সবকিছুতে গা ভাসাতে পারে না। সে তাই করে, যেটা জরুরি। যখনই সে ভালো কিছু করছে, তখন তাকে নিচে টেনে আনার চেষ্টা করা বন্ধ কর। ’

উল্লেখ্য, ‘সঠিকভাবে’ হিজাব পরা নিয়ে বিরোধের জেরে আটক হওয়ার পর পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাশা আমিনির (২২) মৃত্যুতে ইরানে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। 

প্রতিদিনই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে ইরানের নারীসহ সর্বস্তরের জনগন। ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ দেশটির ধর্মীয় নেতাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে