বিনোদন ডেস্ক : আজ নায়করাজ রাজ্জাকের ৭৫তম জন্মদিন। জন্মদিন। বেশ ঘটা করেই এফডিসিতে পালন করা হয় তার জন্মদিন। চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি রাজ্জাক শূন্য হাতে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন নতুন জীবন গড়তে।
একজন সাধারণ মানুষ রাজ্জাক স্ত্রী ও শিশুসন্তান বাপ্পাকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। সেখান থেকে কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে সফল আজকের নায়করাজ। দৃঢ় মনোবল, প্রচণ্ড পরিশ্রম আর সাধনার মাধ্যমে নিজেকে লক্ষ্যে পৌঁছিয়েছেন।
শনিবার বিকেলে এফডিসির পরিচালক সমিতিতে তার জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে অনেকদিন পর এসেছিলেন এই অভিনেতা। রাজ্জাকের সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্র বাপ্পারাজ, সম্রাট এবং তার নাতনি। রাজ্জাকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন পরিচালক, প্রযোজকসহ চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট আরো অনেকে। পরিচালক সমিতির এ আয়োজনে উপস্থিত সবাই রাজ্জাককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজ্জাকের জন্ম কলকাতার সিনেমাপাড়া টালিগঞ্জে। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে সখ্য তার। মঞ্চের সঙ্গে জড়িত থাকলেও স্বপ্ন ছিল সিনেমাকে ঘিরে। টালিগঞ্জের সিনেমাশিল্পে তখন ছবি বিশ্বাস, উত্তমকুমার, সৌমিত্র, বিশ্বজিৎদের যুগ। সেখানে তার অভিনয়ে সুযোগ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না।
এর মধ্যে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এ দাঙ্গাই তার জীবনের সঠিক পথ বাতলে দেয়। এক শুভাকাঙ্ক্ষী রাজ্জাককে পরামর্শ দিলেন ঢাকায় চলে আসতে। ওই ভদ্রলোক ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশের প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা আবদুল জব্বার খানের পরিচিত। তিনি রাজ্জাককে পাঠালেন তার কাছে একটা চিঠি দিয়ে। এরপরই ঢাকায় আসেন রাজ্জাক, জয় করেন বিশ্ব।
কমলাপুরে থাকতেন আবদুল জব্বার খান। স্ত্রী-পুত্র নিয়ে রাজ্জাক ঢাকায় এসে কমলাপুরেই প্রথমে বাসা নেন। জব্বার খান ইকবাল ফিল্মস লিমিটেডে কাজ করার সুযোগ করে দেন। সহকারী পরিচালকের কাজ। কামাল আহমেদের সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ করেন রাজ্জাক উজালা ছবিতে।
শুরু হয় ঢাকায় রাজ্জাকের চলচ্চিত্র জীবন। সহকারী পরিচালক হলেও ছোটখাটো চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন বেশকিছু ছবিতে। এসব ছবির মধ্যে ১৩নং ফেকু ওস্তাগার লেন, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন উল্লেখযোগ্য। অভিনয়ের মাধ্যমে এগিয়ে যান রাজ্জাক। একসময় রাজ্জাক ছাড়া ছবিতে সিনেমা হলে মানুষই যেত না।
২৩ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম