বলিউডের অন্দরমহল নিয়ে পাক-অভিনেত্রীর মন্তব্য ঝড় তুলেছে

বিনোদন ডেস্ক: পাকিস্তানের সেলিব্রেটি বলিউডের মাটিতে ভাল কাজের নজির গড়েছেন, এমন উদাহরণের অভাব নেই। তবে সেই বলিউডের ছবিটা ওপারে (পাকিস্তান) ঠিক কেমন? এবার পাকিস্তানি অভিনেত্রী সনম সাইদের মন্তব্য বেশ কিছুটা স্পষ্ট। 

তবে না, তিনি যা দাবি করলেন, তাতে খুব একটা সুখকর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল না বলিউডকে ঘিরে। একাধিক যুক্তিতে তিনি বলিউডের অন্দরমহল নিয়ে থাকা ভয়কে লাইমলাইটে আনলেন তার দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে। বলিউডের অন্দরমহল নিয়ে পাক-অভিনেত্রীর মন্তব্য ঝড় তুলেছে। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ঝড় তুলেছে রাতারাতি। 

এই ভিডিয়োতে একাধিক বিষয় আলোকপাত করেন অভিনেত্রী। যেখানে মূলত বলিউডের প্রসঙ্গই নেটজ়েনদের চর্চার কেন্দ্র জায়গা করে নেয়। সনমের কথায়, বলিউডে যেভাবে মুসলিম মহিলাদের দেখান হয়, তা নির্দিষ্টি একটি ঘরানা মেনে। এই বিষয়টা বেশ চোখে লাগে তার। 

অর্থাৎ চিত্রনাট্যে থাকা মুসলিম মহিলাকে সর্বদাই পর্দায় দেখান হয়, মাথা ঢেকে-চোখে কাজল লুকে। তবে এতো গেল অন্য বিষয়, বলিউড নিয়ে তার সবথেকে বেশি যে বিষয় অভিযোগ তা হল ‘স্থায়িত্ব’ আর ‘অনিশ্চয়তা’। সনম নিজে কখনও বলিউডে কাজ করেননি। তবে যারা করেছেন তাদের অভিজ্ঞতাও খুব একটা সুখকর নয়।

সনম জানান, ফাওয়াদ খান, মাহিরা খান যে ব্যবহার পেয়েছেন বলিউড থেকে, একপ্রকার এই সিনেজগত (বলিউড) নিয়ে তাদের মনে ভয় জন্মে গিয়েছে। তাদের শুরুটা ভীষণ সুন্দর ছিল। ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’, ‘রেইস’ ছবির মতো বড় বড় কাজ করেছেন তারা। 

তবে পুলওয়ামা ঘটনার পর পাকিস্তানের শিল্পীদের বলিউডে নিষিদ্ধ (ব্যান) করে দেওয়া হয়। হঠাৎই বেরিয়ে যেতে হয় তাদের বলিউড ছেড়ে, আর সেখানেই কেরিয়ার গ্রাফ আবারও যেন সমান্তরাল হয়ে যায়, ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার বদলে।

ফাওয়াদ-মাহিরার কেরিয়ার প্রসঙ্গে সনম আরও বলেন, ‘যদি ভারত সরকার এই দুই স্টারকে নিষিদ্ধ করে না দিত, তবে যে পরিমাণ ভালবাসা তারা পাচ্ছিলেন, হয়তো এতদিনে বলিউডের বড় স্টার হয়ে যেতেন।’ ফলে বলিউড নিয়ে এই আক্ষেপ তার মনে বর্তমান। সনমের অনুমান, হয়তো এই দুই স্টার কখনই আর বলিউডে ফিরবেন না। তিনি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে তা নিয়ে ভাবেননি কখনও।